শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

ভৈরবে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ সহ আহত ২৫ ॥ বাড়ি-ঘর ভাংচুর

ভৈরবে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ সহ আহত ২৫ ॥ বাড়ি-ঘর ভাংচুর

এম.এ.হালিম, বার্তাসম্পাদক:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ২ পক্ষের ৩ ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ সহ আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও মোটর সাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আহতদেরকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আল-আমিন, রফিকুলসহ ৬ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পৌরসভার মেয়রসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাসে সংঘর্ষ থামে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের পলতাকান্দা গ্রামের রতন মিয়ার কলেজ পড়–য়া মেয়েকে চন্ডিবের গ্রামের নবী হোসেনের পুত্রসহ বখাটেরা কলেজে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় পলতাকান্দা গ্রামের গোলাম হোসেনের পুত্র রাহিম তার মামাতো বোনকে উত্যক্তের ঘটনায় প্রতিবাদ করে। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার রাহিম ও তার বন্ধু বায়েজিদকে ফেরীঘাটে আটক করে রিয়াদ ও তার বন্ধুরা মারধোর করে ওইদিন রাতেই বায়েজিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। পরে এ ঘটনায় বায়েজিদের বাবা জসিম মিয়া ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও প্রতিপক্ষ নবী হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার পুনরায় দলবল নিয়ে পলতাকান্দায় দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের মাঝে প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলায় ৫/৬টি সংখ্যালঘুর বাড়ি-ঘর ও দোকান পাট ভাংচুর করা হয়।
রতন মিয়া ও জসিম মিয়া জানান, তার কলেজ পড়–য়া মেয়েকে রিয়াদসহ কয়েকজন বখাটে প্রায় উত্যক্ত করতো। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় নবী হোসেনের লোকজন হামলা চালায় এবং বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেছে । এ বিষয়ে অভিযুক্ত নবী হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ভৈরব থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ২ পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কেউ থানায় মামলা দিতে আসেনি। তবে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১শ ৫০ জনকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana