বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
এম.এ হালিম, বার্তা সম্পাদক :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে আড়াই মাস আটকে রেখে শারিরীক,মানষিক নির্যাতন ও গণ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে প্রভাবশালী মহল বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য কিশোরীর পরিবারকে নানাভাবে চাপ ও ভয়ভীতি প্রদান করা হচ্ছে । পুলিশ বলছে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
কুলিয়ারচর পৌর শহরের খড়কমারা গ্রামের পিতৃহারা শামসু মিয়ার কিশোরী কন্যার সাথে পার্শ্ববর্তী তাতার কান্দি গ্রামের তারা মিয়ার পুত্র ৫০ ঊর্দ্ধ সমির মিয়ার সাথে মোবাইলের রং নাম্বারে পরিচয় হয় । পরিচয় থেকে পরিণয় । পরিণয়ের এক পর্যায়ে সমির মিয়া গত আড়াই মাস পূর্বে কিশোরীকে দাড়িয়াকান্দি বাসষ্ট্যান্ডে দেখা করতে বলে । কিশোরী আবেগে ও সরল বিশ্বাসে সমিরের সাথে দেখা করে বয়সের পার্থক্যের কারনে বাড়ি ফিরে আসতে চাইলে কিশোরীকে সমির ও তার লোকজন জোর করে মুখে চাপ দিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য শুকিয়ে অজ্ঞান করে সিএনজিতে তুলে রাজধানী ঢাকায় একটি রুমে আটকে রাখে । সেখানেও কিশোরীকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ও শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালায় এবং কয়েকজন যুবক কিশোরীর সাথে অবৈধভাবে যৌন নির্যাতন করে । এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে কুলিয়ারচর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করে । পরে পুলিশ সমিরকে চাপ দিলে কিশোরীটি ২ দিন পর ছাড়া পায় । ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসে সি তার মাকে ঘটনা জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে সমিরের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযোগ দায়েরের পর সমির এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় । কিন্ত সমিরের পক্ষে একটি প্র্রভাবশালী মহল বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার জন্য কিশোরীর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও চাপ দিতে থাকে । তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খোলতে সাহস পায়না ।এ অবস্থায় কিশোরীর পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে । সরেজমিনে গিয়ে এলাকার নারী কাউন্সিলরসহ বেশ কিছু লোকজনকে কিশোরীর বাড়িতে পাওয়া যায় । কিশোরির মা মানুষের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে সংসারে ৩ বেলা খাবার জোটে । অভাব-অনটনের সংসারে তাদের দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রভাবশালী চক্রটি নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে যেন মামলা না করে ।
ভিকটিম স্বপ্নীল ( ছদ্ম নাম ) জানান, সমির মিয়ার সাথে মোবাইলের রং নাম্বারে পরিচয় হয় । পরিচয় থেকে পরিণয় । পরিণয়ের এক পর্যায়ে সমির মিয়া গত আড়াই মাস পূর্বে কিশোরীকে দাড়িয়াকান্দি বাসষ্ট্যান্ডে দেখা করতে বলে । কিশোরী আবেগে ও সরল বিশ্বাসে সমিরের সাথে দেখা করে বয়সের পার্থক্যের কারনে বাড়ি ফিরে আসতে চাইলে কিশোরীকে সমির ও তার লোকজন জোর করে মুখে চাপ দিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য শুকিয়ে অজ্ঞান করে সিএনজিতে তুলে রাজধানী ঢাকায় একটি রুমে আটকে রাখে । সেখানেও কিশোরীকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ও শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালায় এবং কয়েকজন যুবক কিশোরীর সাথে অবৈধভাবে যৌন নির্যাতন করে । বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তা ও আতঙ্কে আছেন ।
এ বিষয়ে কিশোরীর মা দোলেনা বেগম জানান, তিনি মানুষের বাড়িতে ঝিঁ এর কাজ করে সংসার চালান,তার সহজ-সরল মেয়েকে তুলে নিয়ে তার মেয়ের জীবনটাকে ধব্বংস করে দিছে সমির । থানায় অভিযোগ দিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন । মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি ও চাপ দিচ্ছে প্রভাবশালী মহল । তিনি ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও নিরাপত্তা চান প্রশাসনের কাছে ।
এ বিষয়ে চাচা আক্কাছ মিয়া জানান, এতিম মেয়েকে সর্বনাশ করছে সমির । আমরা গরীব তাই প্র্রভাবশালী মহল বাড়িতে এসে নানাভাবে চাপ দিচ্ছে যাতে আইনের আশ্রয় না নেয় । আড়াই মাস আগে মেয়েকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে শাররিীক,মানষিক ও যৌন নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তিনি ।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ হাসান সারোয়ার মহসিন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই । বিষয়টি জেনে বাস্তবতার নিরিখে একটি সুষ্ঠু সমাধান যাতে হয় সেটা করবো । আইনের মাধ্যমে অথবা সামাজিক ভাবে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে ও হতে পারে ।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । পর্যালোচনা করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।