মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন

জরাজীর্ণ কুড়েঘরে ২০ বছর বসবাস, আশ্রয়ের আকুতি

জরাজীর্ণ কুড়েঘরে ২০ বছর বসবাস, আশ্রয়ের আকুতি

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
দুবেলা জুটে না অন্ন, নেই কাজ, নেই মাথা গোজার ঠাঁই। জরাজীর্ণ নরবড়ে ছাপড়া কুড়ে ঘরে ২০ বছর বসবাস করে আসছে বিধবা মনোয়ারা খাতুনের পরিবার। চার পাঁচটা পুরানো ঢেউটিন দিয়ে ছাপড়া বেঁধে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারটি দিনের পর দিন খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ধুলজুরী গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন। শ্বাশুরীর আত্মীয়ের কাছ থেকে মৌখিক ভাবে প্রাপ্ত দুইশতক জমির উপর একটি ছাপড়া বেঁধে বছরের পর বছর বসবাস করছে ৫ সদস্যের পরিবারটি।

ভাঙ্গা ও জরাজীর্ণ ঘরে নেই শোয়ার বালিশ, নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। ছাপড়ার ভিতরে বসবাসের উপযোগী না। ঝড় বৃষ্টি এলেই অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয় তাদের। বাধ্য হয়ে ছাপড়ার সাথেই খোলা টয়লেটে মলমূত্র ত্যাগ করছে পরিবারের সদস্যরা।

বিধবা মনোয়ারা খাতুনের বড় ছেলে শাবল মিয়া ঘরের অভাবে শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থান করছে। ছোট ছেলে মাটি কাটা শ্রমিক বিপুল মিয়া স্ত্রী ও শিশু পুত্র নিয়ে মায়ের সাথেই জরাজীর্ণ ঘরে থাকছেন।
আর্থিক দৈন্যতার জন্য ঘর বাঁধার সামর্থ্য নেই বিধবা মনোয়ারার। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবুঝ শিশু কাউছার মিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে দাদী মনোয়ারা।

মনোয়ারা জানান, ভোটের সময় অনেক সাহেবরা আমার ভাঙ্গা ঘর দেখে মেরামত করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর আর আমার ঘরের দরকার নেই। প্রতিবেশী শামসুল ইসলাম জানান, বর্তমান ডিজিটাল যুগে কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে এমন জরাজীর্ণ ঘর আছে বলে আমার জানা নেই। মানবিক কারণে এই অসহায় পরিবারের জন্য সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।

জানতে চাইলে পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন মানিক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে অসহায় মনোয়ারা খাতুনকে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেগম শাহীন জানান, অসহায় পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana