বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
শহীদ লে: আশফাকুস সামাদ হলো `৭১ এর রক্তস্নাত দিনগুলোতে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আত্মত্যাগ ও আত্মদানের এক হৃদয় বিধায়ক ওমর কাহিনীর নায়ক। দেশপ্রেমিক সামাদের পৈতৃক বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত করিমগঞ্জ উপজেলায় সতেরো দরিয়া গ্রামে; তবে পিতার চাকুরী সুবাদে উনারা ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকায় বসবাস করত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের কৃতি ছাত্র সামাদ যুদ্ধের শুরুতেই বর্ডার ক্রস করে ভারতে ট্রেনিং নেয়। এবং অস্ত্র হাতে বীর দাপটে যুদ্ধ করবে সাহসিকতার জন্য প্রবাসী তাকে লে: পদে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে প্লাটুন কমান্ডার সামাদের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়- বৃহত্তর রংপুরের রায়গঞ্জে পাকবাহিনীর শক্তিশালী খাঁটি ধ্বংস করে দিতে হবে। একুশে জুলাই আসফী ২৫ জন সহযোদ্ধা সহ শত্রুর ঘাঁটিতে আক্রমণ করতে গেলে ২৫ পাঞ্জাব রেঞ্জের পাক-হানাধাররা আগেই ওত পেতে ছিল। তখন সামাদ বুঝতে পারে- ওদের রেকি ভুল ছিল। এমতঅবস্থায়- সামাদ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন না করে- অসীম সাহসী করায় সাথে যুদ্ধ এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
শাফায়েত জামিল রাজীব।
সম্পাদক, একুশে টাইমস্।