শুক্রবার, ২০ Jun ২০২৫, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন

মুক্তির সনদ: ছয় দফা

ছয় দফা ছিল আমাদের মুক্তির দিশারী। ’৬৬ সালে আওয়ামী প্রনীত ৬ দফার দাবীতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন ও সংগ্রাম এগিয়ে যায় এবং মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়ে স¦াধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করি।
১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ১৭ দিনের যুদ্ধ রাজনীতির চালচিত্র অনেকটা বদলে দেয়। যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে একটা জাতীয় সম্মেলন ডাকা হয়। তাতে আইয়ূববিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। সিদ্ধান্ত হয়, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান লাহোর সম্মেলনে যাবেন। লাহোরে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন, তার একটা বিষয়সূচি বা ‘টকিং পয়েন্ট’ মুসাবিদা করার জন্য শেখ মুজিব দুজন বাঙালি সিএসপি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগদান করলেন। শেখ মুজিব তাঁদের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ রাখতেন। তাঁরা হলেন রুহুল কুদ্দুস ও আহমেদ ফজলুর রহমান। রুহুল কুদ্দুস সাত দফা কর্মসূচির একটা খসড়া তৈরি করে দেন। পরে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের সহযোগিতায় এটা পরিমার্জন করে ছয় দফায় আনা হয়।
শেখ মুজিব তাজউদ্দীনকে নিয়ে লাহোর গেলেন। সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটির এক সভায় শেখ মুজিব আলোচ্যসূচিতে ছয় দফা অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব করেন। কমিটিতে পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতিবিদদের প্রাধান্য ছিল। তাঁরা ঘোরতর আপত্তি তুললে শেখ মুজিব সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana