বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

জামাতে নামাজ পড়ার সময় গরমিল হলে করণীয়

জামাতে নামাজ পড়ার সময় গরমিল হলে করণীয়

কয়েক দিন আগে আমি মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে যাই। নিচ তলায় জায়গা না পেয়ে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে জামাতে শরিক হই। নামাজের দ্বিতীয় রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে ওঠার সময় ইমাম সাহেব একটু লম্বা করে তাকবির বলেন। ফলে আমরা যারা দ্বিতীয় তলায় ছিলাম তারা সবাই ইমাম সাহেব দাঁড়িয়ে গেছেন ভেবে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাই এবং পরবর্তী তাকবির শুনে রুকুতে চলে যাই। অতঃপর ইমাম সাহেব যখন রুকুর জন্য তাকবির বলেন তখন আমরা বুঝতে পারি যে, ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাতের সেজদা থেকে ওঠার সময় তাকবির লম্বা করে বললেও তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাননি বরং বৈঠক যথাযথভাবেই আদায় করেছেন এবং এখন ইমাম সাহেব রুকুতে আছেন। তাই আমরা রুকু থেকে না উঠে ইমামের সঙ্গে রুকুতেই থাকি এবং বাকি নামাজ ইমামের সঙ্গে শেষ করি। নামাজ শেষ হওয়ার পর আমরা অনেকে সতর্কতামূলক ওই নামাজ পুনরায় আদায় করে নিই। জানার বিষয় হলো, আমাদের ওই নামাজ কি সহিহ হয়েছিল? এ ধরনের পরিস্থিতিতে করণীয় কী?
সাইফুল ইসলাম ঢাকা
উত্তর : জামাতে নামাজ আদায়ের সময় মুক্তাদি যদি নামাজের কোনো একটি পূর্ণ রুকন (যেমন কিয়াম, রুকু, সেজদা) ইমামের আগে আদায় করে ফেলে এবং এরপর ইমামের সঙ্গে পুনরায় তা আদায় না করে তা হলে তার নামাজ ফাসেদ হয়ে যায়। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দ্বিতীয় তলার মুক্তাদিদের পূর্ণ একটি রুকন তথা কিয়াম যেহেতু ইমামের কিয়ামের আগেই সম্পন্ন হয়ে গেছে, তাই তাদের ওই নামাজ ফাসেদ হয়ে গেছে। যারা পুনরায় নামাজ আদায় করে নিয়েছেন তারা ঠিকই করেছেন। প্রকাশ থাকে যে, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দোতলার মুক্তাদিগণ যদি ভুল বোঝার পর দাঁড়িয়ে গিয়ে কিয়ামের জন্য এক তাসবিহ পরিমাণ দাঁড়িয়ে পুনরায় রুকু করতেন তা হলে তাদের নামাজ সহিহ হয়ে যেত। এ ক্ষেত্রে পুনরায় নামাজ আদায় করার প্রয়োজন হতো না। কারণ কোনো রুকন ইমাম সাহেবের সঙ্গে আদায় করতে না পারলেও মুক্তাদি যদি ইমামের সঙ্গে বা পরেও তা আদায় করে নেয় তা হলে সেটি সহিহ হয়ে যায়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana