মঙ্গলবার, ২৪ Jun ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন

ভৈরবে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়ার ৭ দিন পর মেঘনা থেকে মরদেহ উদ্ধার 

ভৈরবে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়ার ৭ দিন পর মেঘনা থেকে মরদেহ উদ্ধার 

এম এ হালিম, বার্তাম্পাদক :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে  বাড়ি থেকে ডেকে নেয়ার ৭ দিন পর মেঘনা নদী থেকে হেলিম  মিয়া (৩২) নামে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে  নৌ- থানা পুলিশ। আজ শনিবার বিকালে নরসিংদির  রায়পুরা উপজেলার  তুলাতুলি এলাকায়  মেঘনা নদীতে  মরদেহটি নদীতে  ভাসতে দেখে  এলাকাবাসিরা পুলিশকে  খবর দিলে পুলিশ  এসে মরদেহটি উদ্ধার করে । তবে নিহতের বড় ভাই সেলিম  মিয়া জানান, গত রোববার দুপুরে কালিকাপ্রসাদ আদর্শপাড়া গ্রামের সালাম মিয়া, নিহত হেলিম মিয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে  যায় । তারপর থেকে সে নিখোঁজ  হয়।  নিখোঁজর পর থেকে তার স্বজনরা অনেক খোজাঁখোজিঁ করে ও না পাওয়ায় গতকাল শুক্রবার ভৈরব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ  দায়ের করে সেলিম মিয়া। তিনি আরো জানান  গত ৭/৮ মাস আগে  কালিকা প্রসাদ তার এলাকার আলমগীর  ও জাহাঙ্গীর ২ সহোদর এবং শ্রী- নগর ইউনিয়নের  ভবানীপুর গ্রামের সালাম মিয়ার মাধ্যমে সেলিম মিয়া লিবিয়ায় যায়। লিবিয়ায়  নিয়ে তাকে জিম্মি  করে মারধোর করে টাকার জন্য। তারপর বাড়ি বিক্রি  করে আলমগীর ও জাহাঙ্গীর কে আরো ৩ লাখ টাকা দেয়।  এরপর গত প্রায়  দেড় মাস  পূর্বে  লিবিয়া থেকে  বাড়ি  ফিরে টাকা ফেরতের জন্য প্রবাস ফেরত সেলিম  মিয়া  দালাল আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে  এলাকায়  সালিসি  বৈঠক করে। এতে ৮০ হাজার  টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত  হয়।  পরে রায় অমান্য  করে আলমগীর  ও জাহাঙ্গীর  নানা টালবাহানা করে সেলিম  ও তার ভাই নিহত হেলিম মিয়াকে  দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।  তারাই তার ভাইকে হত্যা করেছে  বলে দাবী  করেন। এ বিষয়ে  স্থানীয়  ইউপি সদস্য  মোস্তফা সালিসি বৈঠকে  ৮০ হাজার টাকার ফেরতের সিদ্ধান্তের রায় অমান্য  করার কথা স্বীকার  করেন।এ বিষয়ে ভৈরব নৌ- থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান,  ধারণা করা হচ্ছে ৩/৪ দিন আগে  মারা গেছে। তবে এটি হত্যাকান্ড কি না ময়নাতদন্তের রিপোট পেলে জানা যাবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana