স্টাফ রিপোর্টার :
কিশারগঞ্জে পুলিশের এএসপি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে জামান আহমেদ নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
তিনি ভূয়া পুলিশ কর্মকর্তা সেজে প্রায়ই প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।প্রতারক জামান আহমেদ করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের দর্গাভিটা এলাকার মৌলানা মো:বেলায়েত হোসেন সুরে বেলালীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার রাত ৯ টায় জেলা শহরের তমালতলা স্কুলের পাশে আশরাফি বুটিক্স নামক একটি দুকানে যায় প্রতারক জামান আহমেদ।সেখানে গিয়ে তিনি নিজেকে কিশোরগঞ্জ পুলিশের হোসেনপুর সার্কেলের এএসপি পরিচয় দিয়ে ১৫ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করে।
পরবর্তীতে সে বলে যে, তার কাছে এ পরিমান টাকা নাই। তার এটিএম কার্ডে টাকা আছে এবং এক ঘন্টা পর টাকা দিয়ে দিবে বলে বের হয়ে যায়।
ভূয়া পুলিশ কর্মকর্তা জামান আবার ১ ঘন্টা পর আসিয়া আশরাফি বুটিক্সের পরিচালক নাদিরা বেগমকে বলে যে, তার বাবা দূর্ঘটনায় পতিত হয়েছে, চিকিৎসার জন্য ৮০০০ টাকা কর্জ হিসেবে চায়।
তখন আশরাফি বুটিক্সের পরিচালক নাদিরা বেগম নগদ ৮০০০ টাকা কর্জ দেয়।প্রতারক জামান আহমেদ যাওয়ার সময় তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর গুলো দিয়া যায়।পরবর্তীতে টাকা চাওয়ার জন্য ভূক্তভোগী নাদিরা বেগম প্রতারক জামান আহমেদের নম্বরে ফোন করলে সে তাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং কর্জ নেয়া নগদ টাকা ও মালামাল বিক্রয়ের সর্বমোট ২৩,০০০ হাজার টাকা দিবে না বলিয়া অস্বীকার করে।
পরে ভূক্তভোগী নাদিরা বেগম বুঝতে পারে যে,জামান আহমেদ একজন প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী নাদিরা বেগম কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় গতকাল রবিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।ভূক্তভোগী নাদিরা বেগম বলেন,প্রতারক জামান আহমেদ আমার সরল বিশ্বাস ভঙ্গ করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসিয়া আমার থেকে তে ১৫ হাজার টাকার মালামাল ও নগদ ৮ হাজার টাকা প্রতারণামূলকভাবে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ বলেন,ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।