বুধবার, ২৫ Jun ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :
পেটে অন্ন জোগানো কষ্টসাধ্য। ক্ষুধার তাড়নায় প্রায় সময়ই উপবাস থাকতে হচ্ছে। নেই আশ্রয়। জরাজীর্ণ ভাঙ্গা কুড়ে ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন জজ মিয়া ও স্ত্রী কুলসুম বেগম। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ধুলজুরী গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের পুত্র জজ মিয়া ও পুত্রবধু কুলসুম গত দশ বছর যাবৎ একটি নড়বড়ে কুড়ে ঘরে বসবাস করে আসছেন।
সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই কুলসুম দম্পতির। দেড়শতক ভিটে একটি পুরাতন জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরে ৩ শিশু সন্তান নিয়ে রাত্রি যাপন করতে হচ্ছে তাদের। ঘরের চারদিকে ময়লা আর্বজনা পচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ভাঙ্গা ঘরের পাশেই খোলা টয়লেট ও ঝুপড়ি।
জরাজীর্ণ পুরাতন টিনের চালায় পলিথিনের ছাউনি। বৃষ্টি এলেই পুরো ঘর পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে জীবন বাচাতে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয় কুলসুম দম্পতির। স্বামী জজ মিয়া পেশায় একজন দিনমজুর। ঘর মেরামত করার সামর্থ্য নেই পরিবারের।
স্বপ্নের ঘর বাঁধার জন্য বারবার সরকারি দপ্তর, জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের কাছে ধর্ণা দিলেও আশায় গুঁড়েবালি।
জজ মিয়ার স্ত্রী কুলসুম বেগম বলেন,আমার জরাজীর্ণ ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরে স্কুল পড়–য়া সন্তানদের নিয়ে আর থাকতে পারছিনা। সরকার ও বিত্তবানদের নিকট ঘর তৈরির জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।
জানতে চাইলে পৌর কাউন্সিলর মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন মানিক বলেন, বর্তমানে কুলসুম দম্পতি একটি ঘরের জন্য খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছে। জরাজীর্ণ ঘরটি বরাদ্দের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট দাবী জানাচ্ছি।