শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
একদিকে খেলাপি ঋণের হার বৃদ্ধি, অন্যদিকে গ্রাহকদের টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা ব্যাংক খাতকে চরম ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে গ্রাহকের হাতে টাকা রাখার পরিমাণ প্রায় ছয়গুণ বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবছরের ওই সময়ে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে তুলে হাতে রেখেছিলেন ৩ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরের একই সময়ে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২২০ কোটি টাকায়।
এছাড়া মানুষ ব্যাংকে সঞ্চয় করে সুদ পেত। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় তা এখন অনেক কম। বলা যায়, ব্যাংকে ‘প্রকৃত সুদহার ঋণাত্মক’ হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই সুদ না পেলে মানুষ অন্য কোথাও অর্থ খরচ করবে।
তবে ব্যাংক খাতে সৃষ্ট সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারপরও অনেক গ্রাহকের মনে ‘আস্থার ঘাটতি’ রয়েই গেছে। ফলে যে হারে মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তুলছেন, তা উদ্বেগের বিষয়। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, অর্থনৈতিক মন্দা বা যে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তায় গ্রাহকরা ভরসা হিসাবে টাকা ব্যাংক থেকে তুলে রাখেন। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাও রয়েছে।