শুক্রবার, ২০ Jun ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন
যদিও একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকবাহিনীর প্রধান সেনাপতি আমির আবদুল্লাহ নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু অতি পাকিস্তানী মনোভাবসম্পন্ন কিশোরগঞ্জে আলবদর – রাজাকারদের হটিয়ে এই জনপদ শত্রু মুক্ত করা হলো ১৭ই ডিসেম্বর `৭১। এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন সাহেবের রচিত ‘বিজয় সংকলনে’ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- করিমগঞ্জ নিবাসী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কবিরউদ্দিন আহমেদ প্রথম ১৭ই ডিসেম্বর তাঁর প্লাটুন নিয়ে এই শহরে প্রবেশ করেন। অতঃপর কাঠাবাড়ীয়া থেকে ভারতীয় সেনা অফিসার ক্যাপ্টেন চৌহান ও মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক আব্দুল বারী খান শহরে প্রবেশ করে। এছাড়াও কালিয়াচাপড়া থেকে ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান শহরে প্রবেশ করে। ঐদিন অপরাহ্নে বৌলাই সাহেব বাড়ীর কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নিকলীর বাসিন্দা মতিউর রহমান বীর বিক্রমও শহরে প্রবেশ করে। আর বিজয়ের ঐ মহেন্দ্র ক্ষণে কিশোরগঞ্জ শহরের আপামর জনতা বিজয়ের আনন্দে উল্লাস করে।
শাফায়েত জামিল রাজীব।
সম্পাদক, একুশে টাইমস্।