বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
`৭১- এর ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলা (বর্তমান নাম মুজিবনগর) গ্রামে অস্থায়ীভাবে মুজিবনগর সরকার গঠন হবার পর; পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা ভীষণ ক্ষুব্ধ ও রাগান্বিত মনোভাবে- সারাদেশে পাক হানাদারদের ঘাঁটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯ই শে এপ্রিল’ ১৯৭১- এ পাক হায়েনারা নরপিশাচের মতো বাঙ্গালীর বুকের রক্ত শোষণ করতে করতে; মহকুমা শহর কিশোরগঞ্জে প্রবেশ করে। ঐদিন ওরা ভৈরব হয়ে রেলযোগে যশোদল স্টেশনে পৌঁছার পর বাধাগ্ৰস্থ হয়। কারণ মুক্তিকামী বাঙালিরা ইতিপূর্বেই কিশোরগঞ্জ থেকে যশোদল স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন উপড়ে ফেলে দিয়েছিল। অতঃপর পাকবাহিনী ট্রেন থেকে নেমে ক্ষিপ্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী হিন্দু পাড়ায় আগুন দেয় এবং এক রেলস্টেশন কর্মীকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। তথাপি হায়েনার দল পায়ে হেঁটে কিশোরগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনের সামনে তারা পাশা নিবাসী রিক্সাচালক জজ মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে।
জজ মিয়া হলো কিশোরগঞ্জের প্রথম আত্মদানকারী ব্যক্তি। অতঃপর আরেকটু এগিয়ে জাহাঙ্গীর মামু নামে পাগল প্রকৃতিক এক ব্যক্তিকে একরামপুর ব্রীজের উপর হত্যা করে। এভাবে ১৯ শে এপ্রিল’ `৭১ থেকে ১৭ই ডিসেম্বর `৭১ পর্যন্ত একে একে এই জেলার হাজার হাজার ছাত্রজনতা বীরে মতো রক্ত দিয়েছে লাল সবুজের পতাকার জন্য। জাতির এসব সূর্য সন্তানকে জানাই লাল সালাম।
শাফায়েত জামিল রাজীব।
সম্পাদক, একুশে টাইমস্।