বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
স্বেচ্ছায় ফাঁসির মঞ্চে এগিয়ে যাওয়া এগারো নম্বর সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল তাহেরের বিচারকার্য নিয়ে আজো বিতর্ক রয়েছে। `৭৬ সালে জিয়ার নির্দেশে একটি প্রহসনমূলক সামরিক ট্রাইব্যুনালে এই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসির দন্ড দেওয়া হয়েছিল। এক বর্বরোচিত ও অমানবিক বিচারকার্যের মাধ্যমে। প্রশ্ন হল? জিয়াকে উনি ৭ই নভেম্বর `৭৫ বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেছিলেন- সেই জিয়া কেন তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর হুকুম দিয়েছিল আর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী- কোন পঙ্গু ব্যক্তি যতই দোষী হোক; তবুও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বিশেষভাবে নিষিদ্ধ। পৃথিবীর সকল সভা দেশেই কোন পঙ্গু ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া আইন ও মানবাধিকার পরিপন্থী হিসাবে বিবেচিত হয়। অসীম সাহসী এই বীর যোদ্ধাকে যখন মাঝরাত্রিতে ফাঁসি দেওয়ার সময় ঘুম থেকে ডেকে তোলা হয় তখন প্রথা অনুযায়ী উনি, মৌলভী সাহেবের কাছে তওবা করতে অস্বীকৃতি জানান এবং মৌলভী সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলেন- আমি জীবনে তেমন কোন পাপ করিনি। শুধু তাই নয়, কর্নেল তাহের জীবনের বিদায় লগ্নে-নিজ হাতে কফি তৈরি করে খেলেন এবং উনার নকল পা-টি লাগিয়ে-স্বেচ্ছায় বীরদর্পে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলেন ফাঁসির মঞ্চের দিকে।
শাফায়েত জামিল রাজীব।
সম্পাদক, একুশে টাইমস্।