বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন

যুদ্ধ দিনের পরশ পাথর

যুদ্ধ দিনের পরশ পাথর

শহীদ রুমি-আত্মত্যাগ ও রক্তদানের এক ইতিহাসের নাম। উনি শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সন্তান। রুমি ছিল একাত্তরে রণাঙ্গনের এক গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকার অভিজাত এলাকা এ্যলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা রুমি- একাত্তরে সবেমাত্র ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তী সেমিষ্টারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়ার চান্স পেয়েছে। এমনি এক সময়ে, স্বাধীনতা যুদ্ধের দাবানল বেজে উঠল বাংলার আকাশে-বাতাসে। টগবগে তরুণ রুমি একাত্তরে যুদ্ধ শুরু হলে, বর্ডার ক্রস করে ভারতের মেলাঘরে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন। ২নং সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ও দক্ষ বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন হায়দারের সরাসরি প্রশিক্ষণে পাকাপোক্ত গেরিলায় পরিণত হন। অত:পর ঢাকায় ফিরে অন্যান্য ক্র্যাক প্লাটুন সদস্য বদি, আজাদ, জুয়েল, বাশার, আলম প্রমুখের সাথে বিভিন্ন গেরিলা অপারেশনে বীরত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অপারেশন সহ ফার্মগেটে পাকবাহিনীর চেকপোষ্টে আক্রমণ, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় বিষ্ফোরণ, চীনা দূতাবাসে আক্রমণ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিষ্ফোরণ ঘটানো সহ বেশ কয়েকটি গেরিলা অপারেশনে অংশগ্রহণ করে।
কিন্তু বিধি বাম। একাত্তরের ৩০শে আগষ্ট রুমিও অন্যান্য গেরিলা যুদ্ধাদের সাথে পাক হানাদারদের হাতে গ্রেফতার হন ও শাহাদাৎ বরণ করেন। জাতির পক্ষ থেকে রুমি তোমায় বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। আর শহীদ জননী জাহানারা ইমাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এদেশীয় রাজাকার ও আলবদরদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার ছিলেন। শুধু তাই নয় বিরানব্বই সালে গঠিত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্ববায়ক ছিলেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana