শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
যুদ্ধের শুরুতে ৩নং সেক্টর ও পরে এস ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন মেজর জেনারেল (অবঃ) সফিউল্লাহ। ‘৭১-এ পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় তিনি ছিলেন একজন মেজর। যুদ্ধ শুরুর পূর্বে ছিলেন জয়দেবপুরস্থ ২য় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। ২৫শে মার্চ ঢাকায় হত্যাযজ্ঞের খবর পেয়ে মেজর শফিউল্লাহ তার রেজিমেন্টের ৬ জন বাঙ্গালী অফিসারসহ পুরো বাহিনী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।
২৭শে মার্চ ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা একজন সৈনিকের কাছে ২৫শে মার্চের ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে জানতে পারেন মেজর সফিউল্লাহ। তখনই তিনি বিদ্রোহের চূড়ান্ড সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা আগেই তৈরি ছিল। পরদিন সকাল ১০টায় দেড় কোম্পানি সৈন্য নিয়ে ৪টা জীপ, ৬টা ট্রাক ও একটি এম্বুলেন্সসহ টাঙ্গাইল হয়ে ময়মনসিংহের পথে রওনা হন।
৩নং সেক্টরের ভৌগলিক সীমানা ছিল ঢাকা, ময়মনসিংহের একাংশ এবং টাঙ্গাইল, সিলেট ও কুমিল্লার উত্তরাংশ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা)। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকার কারণে ‘৭১ এর আগস্ট মাসেই তিনি লেঃ কর্ণেল পদে উন্নীত হন।
মেজর জেনারের (অবঃ) সফিউল্লাহর জন্ম ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ সালে। ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। প্রথমে পাঞ্জাব রেজিমেন্ট ও পরে ২য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। ‘৭০ -এর অক্টোবরে তিনি ২য় ইষ্ট বেঙ্গলে সেকেন্ড ইন-কমান্ড হিসেবে যোগ দেন। যুদ্ধের পর ‘৭২ এর ৭ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চীফ অব ষ্টাফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ‘৭৫-এর ২৪ আগস্ট সে দায়িত্ব থেকে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ও এস ডি করা হয়।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্