শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুন উদ্দিন আহমেদ গত সোমবার দুপুর ২টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ….. রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, দুই কন্যা ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। জীবদ্ধশায় তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালে ১১ নাম্বার সেক্টরের একজন যোদ্ধা হিসেবে তিনি সম্মুখযুদ্ধে অংগ্রহণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ তিনি ঠান্ডাজনিত কারণে অসুস্থ্য ছিলেন। গত শনিবার হটাৎ তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে বিকাল ৪টায় তাকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎধীন অবস্থায় গত সোমবার দুপুর ২টায় তাঁর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ এলাকার তাঁর নিজ বাসভবনে এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সোমবার বাদ মাগরিব বত্রিশ বাসষ্ট্যান্ড জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর পর রাত ৮টায় তাঁর মৃতদেহ পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পূর্ব ঘোষিত সময়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুন উদ্দিন আহমেদকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বুরুদিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজার পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় স্থানীয় চেয়াম্যান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল কাহার আকন্দ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।