শুক্রবার, ২০ Jun ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

ইসলামী শিষ্টাচারের সৌন্দর্য ও সুফল

ইসলামী শিষ্টাচারের সৌন্দর্য ও সুফল

ইসলাম শিষ্টাচারের ধর্ম। অশিষ্ট্য কোনো আচরণকে ইসলাম সমর্থন করে না। একজন মুসলিমের প্রথম শিষ্টাচার হলো- যখন অন্য কোনো মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হবে তখন তাকে সালাম দেওয়া। ইসলামে সালাম দেওয়া সুন্নত এবং সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। সালাম দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রাব্বে কারিম পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘আর যখন তোমরা শুভাশীষে সম্ভাষিত হও তখন তোমরাও তা হতে শ্রেষ্ঠতর শুভ সম্ভাষণ করো অথবা ওটাই প্রত্যার্পণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী’ (সুরা নিসা : ৮৬)। পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মে এমন সুন্দর সম্ভাষণ নেই। সালাম শুধু নামেমাত্র সম্ভাষণ নয় বরং সালাম হলো শান্তির দোয়া। যে সালাম দেয় এবং যে সালামের উত্তর দেয় উভয়ে একে অন্যের জন্য আল্লাহর শান্তি ও রহমত বর্ষণের দোয়া করে। ইসলামী শিষ্টাচারগুলো কতই না সুন্দর! তাই তো রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি সালামের প্রচার করো।’ (রিয়াদুস সালেহিন : ৮৫২)
আরেকটি ইসলামী শিষ্টাচার হলো, কারও ঘরে প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়া। অনুমতি নেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়মও রাব্বে কারিম কুরআনে বলে দিয়েছেন। রাব্বে কারিম ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে এবং তাদের সালাম না করে প্রবেশ করো না; এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো। যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও তা হলে তাতে প্রবেশ করবে না যতক্ষণ না তোমাদের অনুমতি দেওয়া হয়। যদি তোমাদের বলা হয় ফিরে যাও, তা হলে তোমরা ফিরে যাবে, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা যা করো সেই সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত’ (সুরা নুর : ২৭-২৮)। এই শিষ্টাচার মানুষের গোপনীয়তা রক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছে এবং বিধিনিষেধের মাধ্যমে মানুষকে একটি উত্তম বিধান প্রদান করেছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana