রবিবার, ২২ Jun ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ন
মো.ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া বাসষ্ট্যান্ড সহ পৌরসভার অধিকাংশ সড়কে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বেহাল হয়ে পড়ছিল সড়কগুলো। বর্ষায় সড়কের পিচ খোয়া উঠে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়েছিল। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে চলাচল করা রিকশা ইজিবাইক উল্টে গিয়ে প্রতিদিন ঘটতো দুর্ঘটনা। বিশেষ করে পৌরসভার নগুয়া শেষ মোড় হতে মোরগমহাল ও আখরা বাজার পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত খানাখন্দ হওয়ায় গত ১০ অক্টোবর “একুশে টাইমস্” পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এতে পৌরবাসী ও পথচারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। কাজটি পেয়েছেন মাসুম কনস্ট্রাকশন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের নগুয়া শেষ মোড়ে ঠিকাদার মো: মোফাজ্জেল হোসেন ও মো: খোকন মিয়ার অধীনে ৩০-৩৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। রাস্তাটির কার্পেটিং উঠানো হচ্ছে। শ্রমিকরা উচুনিচু জায়গা সমান করে জোরেসোরে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ চলছে। রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভালোভাবে যাতায়াত করতে পারবে পৌরবাসী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত কর্মজীবী মানুষ।
মোরগমহাল থেকে নাজিম উদ্দিন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমাদের দৈনন্দিন কাজের তাগিতে প্রায় প্রতিদিনই শহরে আসতে হয়। এ রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে ভাল মানুষও রোগী হয়ে যেত। বর্তমানে রাস্তাটির কাজ যে গতিতে শুরু হয়েছে সে গতিতে কাজ করা হলে আশা করি অতি দ্রুত কাজটি শেষ হবে। এতে পৌরবাসী ও স্থানীয়রা দুর্ভোগ হতে মুক্তি পাবে।
ব্যাটারিচালিত ইজিবাই চালক মো: হোসেন ভান্ডারী বলেন, ‘নগুয়া রোডে প্রতিদিন কয়েকশ যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের এ রাস্তাটি দিয়ে সদর হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো যেতে হয়। সড়কগুলো বিগত ২বছর ধরে বেহাল হয়ে পড়ছিল। এখন আমরা ও যাত্রীরা আরাম আয়েশে যাতায়াত করতে পারবে।
পৌরসভার একাধিক স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি নির্মাণ না করায় পৌরসভার বেশিরভাগ সড়ক বেহাল হয়ে পড়ছিল। সড়কের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে অনেকে ফেসবুকে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) ছবি পোস্ট করেও কোন প্রতিকার হয় নাই। পরে চলতি মাসের ১০ অক্টোবর “দৈনিক সংবাদ সারাবেলায়” খবর প্রকাশের পরে রাস্তাটির নির্মান কাজ শুরু হয়েছে।
রাস্তাটির ঠিকাদার মো: মোফাজ্জেল হোসেন বলেন “একুশে টাইমস্” কে জানান, নগুয়া মোড় হতে কিশোরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মোরগ মহাল পর্যন্ত প্রথমত রাস্তাটি নির্মাণ করা হবে। আমার অধীনে ৩০-৩৫জন শ্রমিক কাজ করছে। খুব দ্রতই নির্মান কাজ শেষ হবে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার যে সকল সড়ক বেহাল হয়ে আছে, সেগুলো ডেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তাগুলোর নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই পৌরবাসী ও সাধারণ মানুষের চলাচলের কষ্ট দূর হবে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, ‘পৌরসভার যে সকল সড়কগুলো খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়ছিল। সেগুলোর ডেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। এর পর থেকে সাধারণ জনগণের চলার পথে দু:খ দুর্দশা পোহাতে হবে না। নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। আশাকরি পৌরবাসী এখন থেকে চলাচলের ক্ষেত্রে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।