শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
জাতির মুক্তির সংগ্রামে; যার বীরত্বগাঁথা অনেকটা রূপকথার নায়কের মতো- রণতুর্যের সেই বংশীবাদকের নাম- সিরাজুল আলম খান। আজ স্মৃতির পাতায় হারিয়ে গেছে।
ষাটের দশকের শুরুতে সামরিকজান্তা আইয়ুবশাহীর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক ছাত্র আন্দোলনের রূপকার ছিল শেখ ফজলুল হক মনি এবং সিরাজুল আলম খান। সিরাজুল আলম খান ১৯৬২- ৬৩ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। উনার প্রচেষ্টায় ও অনুপ্রেরণায় ১৯৬৪ সালে আঃ রাজ্জাক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলেন। সিরাজুল আলম খান শুধু ছাত্র নেতাই ছিলেন না; উনি ছিলেন পরাধীন একটি জাতিকে শৃংখলমুক্ত করার অগ্র সৈনিক। স্বাধীনতার পূর্বেই এদেশের পতাকা, জাতীয় সংগীত নির্ধারণ করাসহ; মুক্তির স্বার্থে বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএল.এফ) নামে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। অত:পর ১৯৬৮-৬৯ সালের দিকে যুব নেতা আ: রাজ্জাক, যুব নেতা তোফায়েল আহমেদ সহ ছাত্রলীগের চার খলিফা- আ.স.ম আ: রব, নূরে আলম সিদ্দিকী, সাজাহান সিরাজ, আ: কুদ্দুস মাখন প্রমুখ নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সারাদেশে ছাত্র লীগের প্রতিটি ইউনিটে বি.এল.এফ সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। তাত্ত্বিক এই মহানায়ককে নেতা কর্মীরা ‘দাদাভাই’ বলে সম্বোধন করতো।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্