বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ন

ওজুর মাধ্যমে অর্জিত মর্যাদা

ওজুর মাধ্যমে অর্জিত মর্যাদা

ইসলামে পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ফিকহের কিতাবে আলাদা দুটি শব্দ রয়েছে, ‘নাজাফাত’ অর্থাৎ পরিচ্ছন্নতা এবং ‘তাহারাত’ অর্থাৎ অদৃশ্য ময়লা থেকে মুক্ত হওয়া। তাহারাত অর্থাৎ পবিত্রতা অর্জিত হয় ওজু করার মাধ্যমে। ওজুর মধ্যে আল্লাহ অনেক কল্যাণ ও বরকত রেখেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘বেহেশতের চাবি হচ্ছে নামাজ আর নামাজের চাবি হলো ওজু’ (মুসনাদে আহমাদ : ৩/৩৪০)। ওজু স্বতন্ত্র একটি ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ওজু থাকা সত্ত্বেও নতুন ওজু করে সে ১০টি নেকি লাভ করে’ (ওজুর ফাজায়েল : ২৫৩)। ওজুর বরকতে বান্দার অতীত জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। হজরত আমর ইবনে আবাসা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আমি এক দিন প্রশ্ন করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! ওজুর ফায়দা কী? তিনি বলেন, ‘যখন তুমি ওজু করবে ও দুই হাতের কবজি পরিষ্কার করে ধৌত করবে, তখন গুনাহগুলো আঙুলের অগ্রভাগ ও নখ দিয়ে বের হয়ে নাকের ছিদ্র পরিষ্কার করবে, মুখ ও হস্তদ্বয় কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে, মাথা মাসেহ করবে ও উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে, তখন তুমি যেন তোমার গুনাহগুলোকে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিলে। এরপর যখন তুমি তোমার চেহারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জমিনে রাখবে, তখন তুমি এমনভাবে গুনাহ থেকে নিষ্পাপ হয়ে যাবে, যেদিন তোমার মা তোমাকে জন্ম দিয়েছিল।’ (নাসায়ি : ১৪৭)
ওজুকারী ব্যক্তি হাশরের ময়দানে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত হবেন। হাশরের ময়দানে উপস্থিত সবাই ওজুকারী ব্যক্তির দিকে বারবার তাকাতে থাকবে। ওজুকারী ব্যক্তির হাত-পা ও মুখম-ল চমকাতে থাকবে। হজরত নুয়াইম মুজমির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তিনি ওজু করলেন। তারপর বললেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয় কেয়ামত দিবসে আমার উম্মতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, ওজুর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখম-ল উজ্জ্বল থাকবে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার ইচ্ছা রাখে সে যেন তা করে নেয়।’ (বুখারি : ১৩৮)

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana