সোমবার, ২৩ Jun ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

দফায় দফায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, লাগামহীন সবজির বাজার

দফায় দফায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, লাগামহীন সবজির বাজার

মো. ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জ: সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জেও সপ্তাহের ব্যবধানে স্থানীয় বাজারগুলোতে দফায় দফায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজের দাম আবারও ৮০ টাকায় উঠেছে। তবে দেশের বাহিরে থেকে আমাদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৬০ টাকায় বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে পেঁয়াজের পাশাপাশি ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে সবজি ও মাছের দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও মুরগীর মাংসের দাম।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় তাই বেশি দামে বিক্রি করি। তবে আগামী দু’এক দিনের মধ্যে আরো একদফা বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম।
রবিবার ২৭ আগস্ট শহরের বড়বাজার, কাচারী বাজার, পুরানথানাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ ক্রেতাদের কাছে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৮০-৮৫ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৫৫-৬০ টাকায়। নতুন সবজির মধ্যে সিম বিক্রি করছে ১৮০, টমেটো-১২০, কাকরল-৭০, চিচিংগা- ৬০, করলা-১০০, বেগুন-৮০, পোটল-৫০, কচুরমুখী-৬০, আলু- ৪০, কাঁচামরিচ-১৪০ টাকা।
অন্য দিকে মাছের বাজারে গেলে ক্রেতাদের চোঁখে মুখে দেখা যায় হতাশার ধোঁয়াশা। কেজি প্রতি ইলিশ বিক্রি করছে ১৬০০- ১৮০০ টাকায়, রুই-৪০০ টাকায়, কাতলা- ৩৫০ টাকায়, তেলাপিয়া- ১৯০ টাকায়, সিলভারকার্প- ২২০ টাকায়, পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি করছে ১৯০ টাকায়, দেশি পাঁচমিশালী মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি- ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।
মো: আব্দুল জব্বার নামের এক ক্রেতা জানান, মাছ, মাংস ও সবজিসহ নিত্য পণ্যের দাম দিন দিন যেভাবে বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে এসব পণ্য ক্রয় করা সম্ভব না। সরকার যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে তবে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কিশোরগঞ্জ বড়বাজার ‘সুমাইয়া বাণিজ্য বিতানের’ পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো: বাবুল মিয়া বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ছিল ৬৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৪৬ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
সবজি বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হওয়ায় সবজির দাম অনেক বেশি। তাছাড়া গাড়ী ভাড়া আছে। শ্রমিকের বেতন আছে। সব মিলে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। তাই বেশি দামে বিক্রি করি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana