শুক্রবার, ২০ Jun ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

সন্তানের মানসিক গঠনে অভিভাবকদের ভূমিকা

সন্তানের মানসিক গঠনে অভিভাবকদের ভূমিকা

প্যারেন্টিং শব্দটি এখন অনেক বেশি চর্চা হয় সমাজে। এই বিষয়ের ওপর প্রতি বইমেলায় বই বের হয়। বাজারে খুঁজলে প্যারেন্টিংয়ের ওপর অনেক বই পাওয়া যাবে। অভিভাবকরা সন্তান লালন-পালনের বিষয়ে গাইডলাইন চান। অথচ এমনটা আশি-নব্বইর দশকে দেখা যায়নি। আমাদের মা-বাবাদের দেখেছি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সংসারের চিন্তা, কাজ-দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। সংসারের দায়িত্ব পালনে তারা ভীষণ তৎপর ছিলেন। সেই দায়িত্ব পালনের মধ্যে সন্তান লালন-পালনও একটা দায়িত্ব ছিল। সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে একজন মা সন্তানকে নিয়ে পড়তে বসাতেন। বাবা বাড়ি ফিরে সন্তানের কাছে সারা দিনের কর্মকা-ের খোঁজখবর নিতেন। এ ছাড়া সন্তানকে সমাজ, পরিবার, নৈতিকতা বিষয়ে আলাদাভাবে শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি কখনো। অথচ সেসব দিনের ছেলেমেয়েদের আদব কায়দা, নৈতিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না। আর অভিভাবকরাও আলাদাভাবে প্যারেন্টিং নিয়ে চিন্তা করতেন না।
বর্তমানে আমরা দেখি, শিশুর জন্মের পরে একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত মা-বাবা আদর-আহ্লাদে সন্তান বড় করতে থাকেন। সমস্যা হয় যখন সন্তান বয়ঃসন্ধিকালে প্রবেশ করে। এই সময়ে মা-বাবা যেন তার সন্তানকে চিনতেই পারেন না। নিজের সন্তানের আচরণিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে একেবারে হিমশিম খেয়ে ওঠেন। তখন বিভিন্নজনের সঙ্গে পরামর্শ করতে গিয়ে দেখেন তারাও একই সমস্যায় ভুগছেন। হাতে এখন বিশ^ আছে। সুতরাং খুঁজতে থাকেন ইন্টারনেটে যদি কোনো গাইডলাইন পাওয়া যায়। আর যারা বই পড়তে ভালোবাসেন তারা খোঁজেন প্যারেন্টিংয়ের ওপর লেখা বই। এত খুঁজেও আদৌ কি অভিভাবকরা কোনো সমাধান পান! যদি পেয়ে থাকেন তা হলে এখনও চারদিকে প্যারেন্টিং নিয়ে এত হাহাকার কেন! অভিভাবকদের সঙ্গে তাদের সন্তানদের মতের এত অমিল কেন! কি এমন পরিবর্তন এসেছে যে, আগের মতো আর সহজভাবে সন্তান লালন-পালন করা যাচ্ছে না। অনেক প্রশ্ন এখানে চলে আসে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana