শুক্রবার, ২০ Jun ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ন

ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য: জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনুন

ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য: জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনুন

মারাত্মক রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু, যা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠছে; ধরন পাল্টে হঠাৎ রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতিতে দ্রুতই হাসপাতালে নিতে হচ্ছে, চিকিৎসা নিতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ কঠিন সময়ে পারিবারিক ব্যয় সামলাতে হিমশিম মানুষের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা ব্যয়। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়া রোগীদের খরচ অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। যাদের দীর্ঘদিন থাকতে হয় তাদের ব্যয় বাড়তেই থাকে।

ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া প্যারাসিটামল-জাতীয় ট্যাবলেট ও সিরাপের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে গেছে। গ্লুকোজ স্যালাইনেরও একই অবস্থা। বহুল প্রচলিত ব্র্যান্ডের প্যারাসিটামল ওষুধের সরবরাহ নেই। কোম্পানির প্রতিনিধিরা চাহিদা অনুসারে ওষুধ দিচ্ছে না। অন্যদিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা বলছেন, হঠাৎ করে প্যারাসিটামল ও স্যালাইন-জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাবে, তা আগে থেকে বোঝা যায়নি। ফলে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বড় ধরনের ধাক্কা এসেছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, ব্রয়লার মুরগির সিন্ডিকেটের মতোই বেশি দামে বিক্রির আশায় বড় ব্যবসায়ীরা ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। মোটকথা, ডেঙ্গুকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ বাজারে ওষুধ বিক্রিতে নৈরাজ্য শুরু হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, এ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র। তীব্র চাহিদার সুযোগে ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি করছে কিছু অসাধু বিক্রেতা। দামের তারতম্য নিয়ে হরহামেশাই রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছে ওষুধ বিক্রেতাদের।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana