আল্লাহ সব মানুষকে মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের দায়িত্ব এ মর্যাদা রক্ষা করা। যে আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলবে সে মর্যাদাবান আর যে অমান্য করবে সে নিকৃষ্ট বলে বিবেচিত হবে। আল্লাহর কাছে মর্যাদার অন্যতম মাপকাঠি হচ্ছে তাকওয়া। যে যত বেশি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহর দরবারে সে তত বেশি মর্যাদাবান। এদের মধ্যেও কিছু মানুষকে ইসলামে শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
কুরআনের ইলম অর্জন : কুরআন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির হেদায়েতের জন্য প্রেরিত কিতাব। যারা এ কিতাব শিখে ও শেখানোর কাজে মশগুল থাকবে নিশ্চয় তারা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানুষদের অন্তর্ভুক্ত হবে। হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ওই ব্যক্তি, যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।’ (বুখারি : ৫০২৭)
যথাসময় পাওনা পরিশোধ : কারও কাছ থেকে ঋণ করলে, কেউ আমানত রাখলে বা অন্য কোনোভাবে কেউ পাওনা থাকলে তা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে আদায় করা শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.)-এর কাছে কোনো এক ব্যক্তির একটি বিশেষ বয়সের উট পাওনা ছিল। সেই পাওনার জন্য এলে তিনি সাহাবিদের বললেন, তার পাওনা দিয়ে দাও। তারা সেই উটের সমবয়সি উট অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন কিন্তু পেলেন না। অবশ্য তা থেকে বেশি বয়সের উট পেলেন। তখন নবী (সা.) বললেন, তা-ই দিয়ে দাও। তখন লোকটি বলল, আপনি আমার প্রাপ্য পুরোপুরি আদায় করেছেন, আল্লাহ আপনাকেও পুরোপুরি প্রতিদান দিন। তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘যে পরিশোধ করার বেলায় উদার, সেই তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি।’ (বুখারি : ২৩০৫)