সুখ-দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। দুঃখের পরেই সুখ বিলিয়ে দেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় দুঃখের পরেই আছে সুখ’ (সুরা আলাম নাশরাহ : ৫)। তাই সুখ কিংবা দুঃখ-সর্বাবস্থায় মুমিন মুসলমান মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবে। আল্লাহ তায়ালার প্রতি নিজেকে সোপর্দ করবে। এটাই হওয়া উচিত প্রকৃত মুমিনের আচরণ।

এ ছাড়া একজন মুমিন দুঃখের সময় ধৈর্য ধারণ করবে। আর সুখের সময় নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করবে। মুমিনের রাগ দমন ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ অনেক সওয়াবের কাজ।

এটা মুমিন মুসলমানের জন্য জরুরিও বটে। কুরআন-সুন্নাহে সর্বাবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণের উপদেশ দেওয়া হয়েছে। আবেগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এটা এ জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছ তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তার জন্য তোমরা আনন্দিত না হও। গর্বকারী ও অহংকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না’ (সুরা হাদিদ : ২৩)। বরং সুখ ও দুঃখের সময় নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হাদিসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা ও আশ্রয় চাওয়ার দোয়া শেখানো হয়েছে-‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আদলা ফিল গাদাবি ওয়ার রিদা।’ অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে ক্রোধ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থায়ই মধ্যমপন্থা কামনা করি।