বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ মাইন উদ্দিন : ক’দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ৬নং সালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত জননন্দিত সাবেক চেয়ারম্যান শাহ্ মাহবুবুর রহমান মাহবুব এর বাড়ির পারিবারিক দ্বন্দ্বের একটি খবর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে- শাহ্ মাহবুবুর রহমানের ইটালি প্রবাসী ভাতিজি জেবুন্নাহার মিশি ইটালি থেকে দীর্ঘদিন পর তার বাবার বাড়ি উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের বীর কাশিমনগর গ্রামে বেড়াতে আসলে পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২৩ মে দুপুর ১২ টার দিকে শাহ্ মাহবুবুর রহমান ও তার ছেলে শাহ্ মাহমুদুর রহমান মিলে জেবুন্নাহার মিশির উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতারি মারপিট করে।
পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এখানে অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় জেবুন্নাহার মিশির ভাই বাদি হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। খরবটি পড়ে আমি তো অবাক! কারণ শাহ্ মাহবুবুর রহমান মাহবুব একজন জনন্দিত চেয়ারম্যান। সারা দেশের চেয়ারম্যানদের মধ্য থেকে সরকারিভাবে মনোনীত ১০ জন ন্যয়নীতি ও আদর্শবান চেয়ারম্যানদের মধ্যে শাহ্ মাহবুবুর রহমান মাহবুব ছিলেন অন্যতম একজন চেয়ারম্যান। সেই সুবাদে তিনি সরকারিভাবে চারটি দেশও সফর করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক শাহ্ মাহবুবুর রহমানের আওয়ামী রাজনীতিতে রয়েছে ব্যাপক আবদান। কিশোর বয়সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধরণ করে আজও আওয়ামী রাজনীতির সাথে সংস্পৃক্ত।
ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সহজসরল জীবনযাপনের অধিকারী জননন্দিত চেয়ারম্যান শাহ্ মাহবুবুর রহমান মাহবুব এর পরিবারের মধ্যে পারিবারিক এই ধন্ধ সত্যিই খুব দুঃখজনক। ঘটনা জনতে ৩১ মে বিকেলে সরেজমিন শাহ্ মাহবুবুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ সময় জেবুন্নাহার মিশি এবং তার ভাইকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে কথা হয় শাহ্ মাহবুবুর রহমান মাহবুবের সাথে। মাহবুবুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটা ছোটকাল থেকেই একটু শৃঙ্খল। যা ইটালী থেকে আসার পর আরও বেড়েছে।
কি ঘটনা ঘটেছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়িতে আমার ৪ শতাংশ জায়গা তারা বেশি ভোগদখল করে আসছে। এই জায়গা তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকাবাসী তাদেরকে একাধিকবার অনুরোধ করেও ব্যর্থ হয়েছে। আর এই বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন আমি বাজারে যাওয়ার পথে বাড়ির সামনের রাস্তায় জেবুন্নেহার মিশি আমার সাথে কথা কাটাকাটি করে এক পর্যায়ে আমার উপর আক্রমণ করে বসে। যদিও এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা কিন্তু ঘটনার একদিন পর আমি জানতে পারলাম তার ভাই বাদী হয়ে উল্টো আমার নামে এবং আমার ছেলের নামে থানায় অভিযোগ করেছে।
এ সময় তিনি খুব দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, কি হবে আর এ নিয়ে কথা বলে, জীবনের সবটুকু সময় মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিয়ে শেষ সময়ে এসে এই মিথ্যে, বানোয়াট ও বৃত্তিহীন অভিযোগই বুঝি আমার উপহার?