মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন

টি আর,কাবিখার টাকা গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সম্পাদকের পকেটে

টি আর,কাবিখার টাকা গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সম্পাদকের পকেটে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা কাঞ্চনের বিরুদ্ধে টি আর,কাবিখা,কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা নামে বেনামে তুলে নেয়া সহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৪ জন নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিক এক অভিযোগ পত্রে হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আ.লীগ ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি/সম্পাদক ও অন্যান্য পদের নেতাদের স্বাক্ষরিক লিখিত অভিযোগ পত্রে বলা হয়,গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি গঠিত হয়েছে প্রায় ৯ বছর।এ পর্যন্ত কমিটির পরিচিতি সভা,মাসিক সভা এবং কোন ধরনের রেজুলেশন ছাড়াই দুজন ইচ্ছামত কমিটি পরিচালনা করে।মনগড়া লোক দিয়ে কমিটির মৃত সদস্যদের পদ পূরণ করা হয়েছে যার মধ্যে যুবদল থেকে আগত সভাপতির শ্যালক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উনার স্ত্রীকে সদস্য করা হয়েছে এবং সাধারণ সম্পাদক তার স্ত্রীকে সদস্য করেছে।যা কাউকে অবহিত করা হয়নিউল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তমান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। টি আর,কাবিখা,কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা নামে বেনামে প্রকল্প করে দুজনে তুলে নিয়ে যায়।ভিজিডি,ভিজিএফ,পঙ্গুভাতা, বয়স্কভাতা,বিধবাভাতা,মাতৃত্বকালীন ভাতা কোন ওয়ার্ডে না দিয়ে কিছু নিজেদের ওয়ার্ডে দিয়ে বাকি গুলি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।ঘর এবং চাকরি দেয়ার নাম করে শিক্ষিত যুবকদের নিকট থেকে টাকা আদায় করে।এতে সংসদ সদস্য ডা:সৈয়দা জাকির নূর লিপি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মসিউর রহমানের হুমায়ুনের নাম ব্যাবহার করে।সভাপতি কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং কলেজ সরকারি হওয়ায় দলীয় কাজ এড়িয়ে চলেন।দলের লোকজনের সাথে কোন রকম কোন রকম যোগাযোগ রক্ষা করেন না।সাধারণ সম্পাদক বেয়াদব ও বদমেজাজী লোক নেতাকর্মীরা দলীয় ব্যাপারে কিছু জানতে চাইলে কোন কারন ছাড়াই তাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। অশ্লীল গালিগালাজ করে,হুমকি দেয় এবং মারতে উদ্যত হয়।সে ফ্রিজ টিভির ব্যাবসা নিয়ে সারাদিন গাংগাটিয়া বাজারে থাকে।দলীয় কর্মী সমর্থকদের সাথে কোন যোগাযোগ রক্ষা করে না। এ বিষয়ে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আ. লীগের সহ-সভাপতি খসরুজ্জামান রিছন জানান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার একদিন নোন আনতে পান্তা ফুরাতো, কিন্তু আজ সে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, সুদীর্ঘ ৯ বছরের কোন দলীয় নেতাকর্মী তার কাছ থেকে মূল্যায়ন পায়নি বরং অপমানিত হয়েছেন। গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু জানান, ইউনিয়ন কমিটির একজন নেতা হিসেবে কখনোই সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে মূল্যায়ন পায়নি। দলীয় যত ধরনের উন্নয়নমূলক বরাদ্দ ইউনিয়নে দেয়া হয়, তারা দুজনেই এগুলি বাস্তবায়ন করেন। সভাপতি হোসেনপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সব সময় ব্যস্ত থাকায় দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে রাষ্ট্রীয় কিংবা দলীয় আচার অনুষ্ঠানের দাওয়াত টুকু পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেন না। সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক দুজনের আচরণে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা কর্মীরদের মাঝে এক ধরনের ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে জানতে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা কাঞ্চনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয় নি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana