স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জ শহরের চরশোলাকিয়া বনানী মোড়ে শনিবার  বিকাল ৪ টার দিকে এক ফ্লাট বাসা থেকে ৪ জন দেহ ব্যবসায়ীকে আটক করেছে এলাকাবাসী। চক্রে ২ জন নারী সদস্য ও ২ জন পুরুষ। তারা দুই পরিবারের যুগল বলে সবার কাছে পরিচয় দেয়।

তারা হলো, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার মোঃ গিয়াস উদ্দিন ছেলে  শহীদুল ইসলাম (২৭), এবং তার পরিবারের নামে পরিচয়কারী তানিয়া আক্তার (২৮) একই উপজেলার করাচি গ্রামের মৃত কোহিল মিয়ার মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে মো: শহীদুল ইসলাম এই দেহ ব্যবসা করেন। আরেক জন রিপন মিয়া (২৩), পিতা: রতন মিয়া,  জেলার  নিকলী উপজেলার ভাটি  বরাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী নামে পরিচয় দেন আরেকজন নারী। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায় ।

জানাযায় শনিবার বিকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকায় মিঠামইন উপজেলার বাসিন্দা ২ জন পুরুষ খরিদ্দার হিসেবে একটি ফ্লাটে আসে। ৪ জন তাদেরকে মারধর করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ১লক্ষ টাকা মুক্তপণ দাবী করে। মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য একজন বিকাশের দোকানে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে এলাকাবাসীর নিকট সকল ঘটনা খুলে বললে এলাকাবাসী কিশোরগঞ্জ মডেল  থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে বিষয়টি জানায়। ওসি মোহাম্মদ দাউদ বিষয়টি তৎক্ষণাত আমলে নিয়ে পুলিশ পাঠায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর হাত থেকে ৪ জন দেহ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ মডের থানার ওসি মো: দাউদ সাংবাদিকদের বলেন, তাদের উপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আগামীকাল কোর্টে প্রেরণ করা হবে।