মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষি খাতে প্রভাব পড়বে, এতে উৎপাদন ব্যাহত হবে না, কিন্তু কৃষকদের লাভ কিছুটা কম হতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কৃষকের লাভটা কম হবে। কিন্তু উৎপাদন কম হবে না। আগে ১১০০ বা ১ হাজার টাকায় এক মণ ধান বিক্রি করে ১০০-১৫০ টাকা লাভ হতো, এখন হয়ত লাভটা কম হবে; কিন্তু উৎপাদন কমবে না। এ দেশের চাষিরা অনেক ত্যাগী, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে, গরু বিক্রি করে, ছাগল বিক্রি করে সার কিনে জমিতে দেন।
তিনি বলেন, সারা দেশেরই মানুষের কষ্ট হচ্ছে। হয়ত আমরা বলতে পারি গুলশান বনানীর মানুষের কী কষ্ট, বড় বড় শিল্পপতিদের কী কষ্ট, তাদের জন্যও ঝুঁকি আছে। তেলের ব্যবহার তো সর্বত্র। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন যে আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হলেই তেলের দাম কমে যাবে। আমরা আবার তেলের দাম কমিয়ে নেব। মানে দেশকে তো আমরা পুরো ঝুঁকির মধ্যে নিতে পারি না। এখন এই যে তেলের বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, আরও ভর্তুকি দিলে সরকারি গুদাম, সরকারি রিজার্ভ একদম কমে যাবে, তখন গোটা জাতি একটা হুমকির মুখে পড়ে যাবে। তার চেয়ে বরং এখনই কিছু কষ্ট করে আমরা সাবধান হই, পুরো জাতিকেই একটা ওয়ার্নিং দেওয়া, তেল কম খরচ করেন, বিদ্যুৎ কম খরচ করেন, আমরা একটু সাশ্রয় করি।
তিনি আরও বলেন, তেলের মূল্য বৃদ্ধি হলে এর একটি বিরূপ প্রভাব যে পড়বে তা যে সরকার জানে না, তা কিন্তু নয়। তারপরও সাময়িক এ কষ্টটা নিয়ে আমরা যেন টিকে থাকতে পারি। ইনশাআল্লাহ যুদ্ধ তো আর চিরদিন থাকবে না, যদি আমরা টিকতে পারি, আবার আমরা ঘুরে দাঁড়াব।
রোববার জেলা শিল্পকলার ওই কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মিজানুর রহমান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লার সিইও ড. মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এবং পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।