কুলিয়ারচর প্রতিনিধি, মোঃ মাইন উদ্দিন : চলাচলের সুবিধার্থে সরকারি খালট দিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণ করা হলেও এর সুফল ভোগ করতে পারছেন না এলাকাবাসী। কাগজে কলমে ১৫-১৬ ফিট প্রস্তের রাস্তা দুইপাশ জমির মালিকদের দখলে চলে যাওয়ার ফলে কোথাও কোথাও এখন ৩/৪ ফিট পাওয়া যায়। বলছি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মরহম মকবুল আহম্মদ এর বাড়ির সম্মুখ হতে ব্রহ্মপুত্র নদ পর্যন্ত সরকারি খালট দিয়ে করা রাস্তাটির কথা। ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস.এম আজিজ উল্যাহ’র মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির দুইপাশে সারিবদ্ধভাবে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে আকাশী গাছ। যা প্রকৃতি প্রেমীদের নজর কাড়বে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মূল রাস্তাটি আর আগের মতো নেই, দুইপাশের অনেকাংশ জমির মালিকদের দখল চলে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, একসময় ফরিদপুর ইউনিয়ন তথা পার্শবর্তী সালুয়া ও ছয়সূতী ইউনিয়নের মানুষের জন্য বেলাব আসা-যাওয়ার একমাত্র যাতায়াত রাস্তা ছিল এটি। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেটে, বর্ষায় খেয়া নৌকায় পাড়াপাড় হতো তারা। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় নাপিতেরচর খেয়া ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর গড়ে ওঠে ব্রিজ। ব্রিজ হওয়ার পর এ রাস্তা দিয়ে মানুষের চলাচল অনেকটা কমে যাওয়ায় রাস্তার দুই পাশের জমির মালিকরা আস্তে আস্তে দখল করে নিতে থাকে। যার ফলে রাস্তাটি আগের মতো নেই। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে ১৫/১৬ ফিট খালটের রাস্তার কোনো কোনো জায়গায় এখন ৪/৫ ফিট হয়েছে। এ অবস্থায় দখল হওয়া রাস্তাটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মরহুম মকবুল আহম্মদ এর বাড়ির সম্মুখ হতে ব্রহ্মপুত্র নদ পর্যন্ত সরকারি খালটের রাস্তাটি দখল হয়েছে এ কথা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আজিজ উল্ল্যাহ বলেন, দখল হয়ে যাওয়া সরকারি খালটের জায়গা অচিরেই দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করা হবে। তবে উদ্ধার হওয়ার পর এখানে ব্রহ্মপুত্র বেইলি কপিশপ নামে একটি বনায়ন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলবেন বলেও জানান তিনি।