বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

কুলিয়ারচরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ লাকি আক্তার

কুলিয়ারচরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ লাকি আক্তার

মো: মাইন উদ্দিন, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক নারী একসঙ্গে চারটি সন্তান জন্ম দেয়ায় হাসপাতাল এবং ওই এলাকায় আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল অ্যান্ড হসপিটালে সিজারের মাধ্যমে লাকি আক্তার (২৮) নামের ওই নারী চার সন্তান জন্ম দেন। চার সন্তানের মধ্যে দু’টি মেয়ে ও দু’টি ছেলে। তারা সবাই সুস্থ আছে। তবে সন্তানের মা অসুস্থ থাকায় আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।
জানা যায়, কুলিয়ারচর পৌর সদর পশ্চিম গাইলকাটা গ্রামের মো. মুসা মিয়ার মেয়ে লাকি আক্তার ও কুলিয়ারচর ছয়সূতী ইউনিয়নের বড় ছয়সূতী গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে ফাইজুর রহমানের সাথে গত ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা একটি সন্তানের আশার ঘুরেছেন অসংখ্য হাসপাতাল ও ডাক্তারের কাছে। অবশেষে তারা সন্তানের মুখ দেখলেন কিন্তু একসঙ্গে চার সন্তান। আনন্দের এই খবরে যেন চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না চার সন্তানের দরিদ্র পিতা ফাইজুর রহমান।
লাকীর বড় ভাই মো: হাবিবুল্লাহ জানান, ১০ বছর আগে একই উপজেলার ফাইজুর রহমানের সাথে ছোট বোন লাকীকে বিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১০ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের কোনো সন্তান ছিল না।
পরে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আল্লাহর অশেষ নিয়ামত ও গাইনী কনসালটেন্ট ডা. ইসমত আরা-র পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এতে দীর্ঘ ১০ বছর পর একসাথে চার সন্তানের জন্ম দেয়। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি যেমন আনন্দের তেমনি চিন্তারও। কারন চার শিশুর বাবা একজন সামান্য দর্জির কাজ করেন। এতে চার শিশু সন্তানের লালন-পালন করা তারপক্ষে কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে পরবে। তিনি তার ছোট বোন লাকীসহ চার সন্তানের সুস্থতা কামনা করেন।
চার সন্তানের বাবা ফাইজুর রহমান জানান, একটি সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে অনেক প্রার্থনা করেছিলাম। অনেক হসপিটাল ও ডাক্তার দেখিয়েছি। অবশেষে আল্লাহ আমাদের ডাক শুনেছেন এবং একসঙ্গে চার সন্তানের বাবা হলাম। কিন্তু আমি সামান্য টেইলার্সের কাজ করে চার সন্তানের ভরণ-পোষণ কীভাবে করব; এই নিয়ে পড়েছি দুশ্চিন্তায়। এদিকে বাচ্চার মায়ের অবস্থাও খুব একটা ভালো না, আইসিইউতে আছে এখনও। হাসপাতালে অনেক টাকা বিল আসবে। এছাড়া গত ১০বছর অনেক হাসপাতাল ও ডাক্তার দেখাতে গিয়ে আয়ের টাকা প্রায় সবই খরচ হয়েছে সেখানে। এই মুহূর্তে বাচ্চার বাবা হতে পেরে আনন্দিত হলেও চার বাচ্চার লালনপালনে নিয়ে আছি বেশ দুশ্চিন্তায়। এ বিষয়ে সুশীলসমাজ ও সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana