মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
যাকে বাংলার বাঘ বলা হত। ভারতের ভবিষ্যত শাসনতন্ত্রের রূপরেখা নির্ধারণের লক্ষ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার র্যামজে ম্যাক ডোনাল্ড (James Ramsay Mac Donald) একটি গোলটেবিল বৈঠক আহবান করেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মহাত্মা গান্ধী এই বৈঠক প্রত্যাখান করেন। কিন্তু, মুসলিম লীগ সেই বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। ১৯৩০-১৯৩১ সালের প্রথম গোলটেবিল বৈঠকে ফজলুল হক বাংলা এবং পাঞ্জাবের মুসলমানদের জন্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধিত্ব দাবি করেছিলনে। তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচনের পক্ষে বক্তৃতা দেন।
শুধু তাই নয়, ১৯৩৫ সালে এ. কে. ফজলুল হক কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। এবং তিনিই কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র।
১৯২৪ সালে শিক্ষামন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেয়ার পর থেকে আবুল কাশেম ফজলুল হক সম্পূর্ণরূপে জড়িয়ে পড়েছিলেন কৃষকদের রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। ১৯২৯ সালের ৪ জুলাই বঙ্গীয় আইন পরিষদের ২৫ জন মুসলিম সদস্যদেরকে নিয়ে কলকাতায় একটি সম্মেলনে মিলিত হন। এই সম্মেলনে ‘নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি’ নামে একটি দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৩৭ সালের মার্চে বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টির পক্ষ থেকে পটুয়াখালী নির্বাচনী এলাকা থেকে এ. কে. ফজলুল হক ও মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী পটুয়াখালীর জমিদার ও ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য খাজা নাজিমুদ্দিন প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। কিন্তু মুসলিম লীগ প্রার্থী খাজা নাজিমুদ্দিনের নির্বাচনী প্রতীক ছিল “হারিকেন” আর হক সাহেবের কৃষক প্রজা পার্টির প্রতীক ছিল “লাঙ্গল”। কৃষক প্রজা পার্টির শ্লোগান ছিল, “লাঙল যার জমি তার, ঘাম যার দাম তার”। অপরদিকে, খাজা নাজিমুদ্দিন ৫,০০০ হাজার ভোট পেয়ে ৭,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এই নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টি ৩৯টি সাধারণ আসন ও মুসলিম লীগ ৩৮ টি আসনে জয় লাভ করে। মুসলিমলীগের সাথে সমঝোতায় গিয়ে একে ফজলুল হক ১১ সদস্য বিশিস্ট মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে। মন্ত্রীসভায় তিন জন কৃষক প্রজা পার্টির ও তিন জন মুসলীম লীগের এবং তিন জন বর্নহিন্দু এবং ২জন তফসীলী সম্প্রদায়ে সদস্য ছিল। তথাপি অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেরেবাংলা প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকিত করেন।
শাফায়েত জামিল রাজীব
সম্পাদক
একুশে টাইমস্