শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
প্রথম পর্ব:
’৫২ সালের বর্ণমালার যুদ্ধ ছিল একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর যুদ্ধ। কোন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বা জাতি অন্য একটি জাতিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত করার পূর্বে প্রথমত: আঘাত করে নিপীড়িত নির্যাতিত জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও তাঁর ধর্মীয় চেতনার উপর। তাই ’৪৭ সালে যদিও পূর্ব বাংলার মুসলমান বাঙালীদের পাকিস্তান সৃস্টির পেছনে অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। তবুও পাকিস্তান সৃস্টির পর এক বছর যেতে না যেতেই পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী আর তাদের এদেশীয় এজেন্ট খাজা নাজিমুদ্দিন-নূরুল আমিন গংরা আবার সা¤্রদায়িকতার উস্কানি দিতে লাগল। বাংলা বর্ণমালাকে হত্যা করার জন্য উনারা বলল ‘বাঙলা হিন্দুয়ানী ভাষা’। তখন এর প্রতিউত্তরে জ্ঞান তাপস ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাল এক সাহিত্য সম্মেলনে বলেছিলেন “ আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য; আমরা বাঙালী। বাংলা আমাদের মাতৃ ভাষা। এটি কোন আদর্শের কথা নয়, এটি বাস্তব সত্য।” দেশ ভাগের পর কলকাতা থেকে কিছু বিত্তশালী মুসলিম অবাঙালী পরিবার যেমন: দাউদ, ইস্পাহানীদের পরিবার। আবার বাঙালীদের মধ্যে অভিজাত মুসলমান পরিবার হিসেবে খ্যাত ঢাকার নবাব পরিবার এরা সবাই ছিল উর্দুভাষী। অন্য দিকে আবাঙালী বিহারী রা যারা ভারতের বিহার রাজ্যের আশপাশ থেকে এসেছিল, সেইসব মুসলমানরাও ছিল উর্দুভাষী। তদুপরি, পূর্ব বাংলার হিন্দু- মুসলমান সকল বাঙালির কাছে বর্ণমালার যুদ্ধটি অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চলবে.. (দ্বিতীয় পর্ব আগামীকাল)
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম