শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
একুশে ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ গুলিবর্ষণে অন্য অনেকের মতোই হতভম্ব হয়ে যান সাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদ। তিনি তখন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আরেক সাহিত্যক হাসান হাফিজুর রহমান ও মুস্তাফা নূরউল ইসলাম পত্রিকার কাগজের মতো বড় একটা পৃষ্ঠায় কয়েকটি লেখা তৈরী করেন। একুশে ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকেই আলাউদ্দিন আল আজাদ সেই বুলেটিনের কাজের জন্য প্রেসে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বুলেটিন ছাপা হয়েছিল বড় কাগজের এক পৃষ্ঠায়। আলাউদ্দিন আল আজাদ তাতে একটি দীর্ঘ লেখা লিখেছিলেন, যে লেখায় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের ধর্মঘট, ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের আইনসভার ভাষণ থেকে শুরু করে একুশের হত্যাকান্ড পর্যন্ত আলোচনা করেছিলেন। দীর্ঘ লেখায় নুরুল আমিন সরকারের সমালোচনা ছিল। এই লেখার শিরোনাম তিনি দিয়েছিলেন ‘বিপ্লবের কোদাল দিয়ে আমরা অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর কবর রচনা করব।’
লিফলেটটি বিলি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোষ্টেল, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ও পলাশী ব্যারাক এলাকায়। সে রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বেষ্টনী থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য মানুষ দেখেতে গিয়েছিল গুলিবর্ষণের এলাকাটি। একুশের রাতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এলাকা ঘুমায়নি। আলাউদ্দিন আল আজাদের ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ নামের কবিতাটি অমর হয়ে আছে। যার প্রথম পঙক্তি ‘স্মৃতির মিনার ভেঙেছো তোমরা, ভয় কি বন্ধু? আমরা এখনো চারকোটি পরিবার, খাড়া রয়েছি তো’! কবিতাটি তিনি লিখেছিলেন ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম