বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
গত ৪ জানুয়ারি ছিল আওয়ামীলীগের ডাকসাইটে নেতা, মানবতার বরপুত্র, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। মিডিয়া বিমুখ সৈয়দ আশরাফ ছিলেন কম কথার মানুষ। তবে কালে-ভদ্রে দেশবাসীকে কিছু মনোমুগ্ধকর তথ্য দিতেন। যেমন তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আওয়ামীলীগ একটি অনুভূতির নাম’ তাঁর এই মন্তব্যটি তখন দলীয় নেতাকর্মীদের ভীষণভাবে উজ্জীবিত করেছিল। ঠিক তেমনি পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে সরকারের টানা পোড়ানোর সময় তিনি এক সুধী সমাবেশে একটি গল্প বলেছিলেন, গল্পটি হলো: আমার দেশের বাড়ী বিশোরগঞ্জের অজ পাড়াগাঁয়ের এক গরীব ঘরের ছেলে স্কুলে ভর্তি হলো। হিংসুটে পাড়া প্রতিবেশীরা মনে করল স্কুলের গন্ডি পেরোনোই কঠিন। কিন্তু প্রচন্ত আত্মবিশ্বাসী ও মেধাবী ছেলেটি ধীরে ধীরে স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখল। এবার নিন্দুক প্রতিবেশীরা বলতে শুরু করল, এম.এ পাশ করলে কি হবে ? চাকুরী পাবে না। কিন্তু চাকুরীও জুটে গেল। এবার নিন্দুকের দল রটাতে লাগল, চাকুরী হলেও বেতন পাবে না। অথচ মাস পেরোতেই ছেলের হাতে বেতন এসে গেল। তখন সমালোচনাকারীরা মুখে কুলুপ আটল। এই গল্পটি বলার পিছনে উনার যুক্তি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগ কখনোই জনমানুষের সাথে করা কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) ‘মিস’ করে না। এক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর দ্রুত নির্মান কাজই তার প্রমাণ।
তবে এ মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী ও তার দল আওয়ামীলীগের কাছে জন-মানুষের একটি কাঙ্খিত চাওয়া হলো- অবাধ, সুষ্ঠ আগামী সংসদ নির্বাচন। আর তাই আগামী সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সরকারের উচিত জনগনের কাছে আরেকটি প্রতিশ্রুতির সু-বাতাস বয়ে দেওয়া। তাহলে সরকারের জনপ্রিয়তা আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম