মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
১৯৭১ সনে বাংলাদেশের পাক-হানাদার কর্তৃক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ আর ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চলের শরনার্থী শিবিরের দু:খ-দুর্দশা, ব্যাধি আর অনাহারের দৃশ্য দেখে কেঁদে উঠল ভারতীয় সংগীত শিল্পী ও বিশ্ববিখ্যাত সেতারা বাদক পন্ডিত রবি শংকর আর তার সংগীত জগতের বন্ধু পাশ্চাত্যের খ্যাতনামা গায়ক জর্জ হ্যারিসনের কোমল হৃদয়। হাত ঘুটিয়ে বসে না থেকে জর্জ হ্যারিসন আর পন্ডিত রবি শংকর নিউইয়র্কে কনসার্টের মাধ্যমে চাঁদা তুলে শরনার্থীদের সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিলেন। জর্জ হ্যারিসন যোগাযোগ করল তৎকালীন প্যাশ্চাতীয় সংগীতের প্রাণপুরুষ বব ডিলান, এরিক কিপটনের মত গায়কদের সাথে। রাজি করালেন কনসার্টে গান গাওয়ার জন্য। তবে কোনো রকম পারিশ্রমিক ছাড়াই। অত:পর নির্দিষ্ট সময়ে নিউইয়র্কে ম্যাডিসন স্কোয়ারে জর্জ হ্যারিসনর, বব ডিলানরা গেয়ে উঠল ‘ও বাংলাদেশ…… ও বাংলাদেশ’। দুই সপ্তাহের প্রোগ্রামের সমুদয় অর্থ ইউনিসেফের মাধ্যমে শরনার্থ শিবিরে পূর্ব বাংলার শরনার্থীদের খাদ্য, ঔষুধ, বস্ত্রের মত মৌলিক চাহিদা মেটাতে দান করা হল।
আমরা বাঙালী জাতি ভিন্ন দেশের-ভিন্ন সংস্কৃতির, কিন্তু মানবতাবাদী সেই তরুন শিল্পীদের কাছে আজও ঋণী হয়ে রইলাম। ওরা গেয়ে উঠেছিল:
সেই দিন এলো বন্ধু আমার
দুই চোখ তার ভরা বেদনায়ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ..
করো অনুভব
বাংলাদেশের মানুষগুলোকে
ও বাংলাদেশ… ও বাংলাদেশ।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম