সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে আগামীকাল পনের রমজান জুমাবার রাতে পৃথিবীতে বিস্ফোরণ হবে, ভুমিকম্প হবে, শিংগায় ফু দেয়া হবে, পরে কিয়ামতর আলামত শুরু হয়ে যাবে।
কথাগুলো এ ক’দিন ধরে যেদিকে যাচ্ছি সেদিকেই শুনতে পারছি। কেউ কেউ এ কথাকে হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়াচ্ছে। আবার দু-একজন ইসলামী বক্তা বিষয়টিতে ঘিও ঢালছেন। আগামীকাল জুমাবার নাকি দুনিয়ায় মহাবিস্ফোরণ হবে। ভুমিকম্প হবে।
কি হবে আগামী শুক্রবার? সারা বিশ্বে জুম্মার নামাজ অনুষ্টিত হবে, মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের সমাগম ঘটবে, অধিকাংশ মুসলিম রাষ্টে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে, স্বাভাবিক থাকবে মানুষের চলার গতিও। পৃথিবীতে অস্বাভাবিক কোনো কিছুই হবেনা ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহু রাব্বুল আল-আমীন হল এ পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা। পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে আজ অবধি কত কিছুই সৃষ্টি হয়ে, আবার দংশও হয়েছে। যার প্রমান আসমানী কিতাব- আল কুরআন সহ হাদিস এবং বিজ্ঞান জুড়েই রয়েছে। রয়েছে কিয়ামত হওয়ার সংকেতও। কিন্তু আরবি, বাংলা ইংরেজি হিসেব অনুযায়ী আরবি ১৫ রমজান ১৪৪৪ হিজরি, ২৪ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৭ এপ্রিল ২০২৩ খৃষ্টাব্দ দুনিয়া কিয়ামত হবে এমন সংকেত কোথাও নেই। এমনকি কোনো হাদিসেও না। কথাটি অধিকাংশ হাদিস শাস্ত্রবিদদের মত অনুযায়ী বানোয়াট। তবে তাদের মতে কিয়ামত সংগঠিত হওয়ার পুর্বের বড় বড় নিদর্শন এখনও প্রকাশিত হয়নি। আল্লাহু রাব্বুল আল-আমীন যখন কিয়ামতের ফয়সালা করবেন তখন কিয়ামত হবেই, আটকিবে না। যেহেতু আটকিবে না, সেহেতু অযথা বানোয়াট কথা বর্ণনা করে দুরের কিয়ামত এগিয়ে আনার কি দরকার?
আমাদের উচিৎ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কর্তৃক নির্দেশিত পন্থায় কিয়ামতের বড় নিদর্শন দাজ্জালের ফিতনা হতে রক্ষার জন্য অধিক হারে আল্লাহ’র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা, আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের দাজ্জালের ফিতনা হতে মুক্ত রাখেন।
