শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন ‘ইয়েস উই ক্যান’

শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন ‘ইয়েস উই ক্যান’

একুশে ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশও যে পারে, মেট্রোরেলের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করে শেখ হাসিনার সরকার সেটা করে দেখিয়েছে। মেট্রোরেল করে শেখ হাসিনা আবার প্রমাণ করেছেন, ইয়েস উই ক্যান (হ্যাঁ, আমরা পারি)। কেন আমরা পারব না? আমরা বীরের জাতি।

বুধবার দেশের প্রথম মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচনের পর সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের সভাপতির বক্তব্যে দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার উদাহরণ তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, গুলশানে মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের ঘটনার রাতে নেত্রী জেগে ছিলেন। অনেক রাতে আমি ফোন করে বলি- নেত্রী, আপনি তো জেগে আছেন, আগামীকাল সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক ফোর লেনের আপগ্রেডেশন উদ্বোধন। নেত্রী বললেন, ‘প্রোগ্রাম চলবে’। ওই অবস্থায় সারা রাত জেগেও পরের দিন প্রকল্প দুটির উদ্বোধন কাজ সমাপ্ত করেছিলেন।

পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান পিয়ারের ওপর ওঠানোর দিনের কথা স্মরণ করে কাদের বলেন, সবাই বলছিলেন প্রথম স্প্যানটি শেখ হাসিনার উদ্বোধন করা অত্যাবশ্যক। এরপর আমি নেত্রীকে বলেছিলাম, আপনি প্রথম স্প্যানটা ১০-১৫ দিন পরে উদ্বোধন করবেন, এটাই আমরা আশা করছি।

এরপর মঞ্চে উপস্থিত শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনি দেশ এবং দেশের উন্নয়নকে কত ভালোবাসেন, তখন আপনি বলেছিলেন, ‘আমার জন্য পদ্মা সেতুর কোনো কাজ এক সেকেন্ডও যেন বসে থাকতে না হয়।’ সে কথা আমার বারবার মনে পড়ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের আজকের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার পাশে যিনি বিশেষ অতিথি হিসাবে বসে আছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব যেমন সংকটে বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও পার্টিকে সামলিয়েছেন, তেমনি সংকটে শেখ হাসিনার পাশে সাহসী সহযোদ্ধার নাম শেখ রেহানা। এ সময় শেখ রেহানা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সবাইকে হাত উঁচিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তখন বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাততালি দেন। শেখ রেহানা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি সাদাসিধা জীবনযাপন করেন। লন্ডন সিটিতে চাকরি করেন। বাসে চড়ে যাতায়াত করেন।

মেট্রোরেল নিয়ে কোনো দুর্নীতির কথা বলতে না পেরে বিরোধীরা এখন ভাড়া নিয়ে কথা বলছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি পায়নি, অন্য কিছু পায়নি, তাই এখন বলে- ভাড়া বেশি। আসলেই কি ভাড়া বেশি? এই মেট্রোরেল নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করল- তখন নেত্রী বললেন, এটায় আওয়াজ হবে না। তখন তারা নীরব ছিল। তারা বলেছে, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু। এখন সমাবেশ করার জন্য এই সেতুর ওপর দিয়ে যাচ্ছেন কিভাবে? শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করে ফেলল, বঙ্গবন্ধু টানেল ও মেট্রোরেল করে ফেলল- সেজন্য মনে অনেকেরই আজ বড়ই জ্বালা, তাদের এখন অন্তর্জ্বালা।

বাংলায় শুভেচ্ছা জানালেন জাপানের কর্মকর্তা : সুধী সমাবেশে বাংলায় শুভেচ্ছা জানান জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইচিগুচি তমুহিদে এবং বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

জাইকার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইচিগুচি তমুহিদে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলায় বলেন, শুভ সকাল। তিনি বলেন, আমি এখানে এসে খুবই খুশি হয়েছি। বক্তব্য শেষে ইচিগুচি বাংলায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সবাইকে সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দেন। তিনি বাংলায় বলেন, আমি বাংলাদেশে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। ১০ দিন হলো আমি বাংলাদেশে এসেছি। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এই সম্পর্ককে আমি আরও গভীর করতে চাই। তিনিও বাংলায় ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana