সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০১:০৭ অপরাহ্ন
আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কাজ করছে। আগামী অক্টোবওে ইতালির রোমে বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করবে এফএও। সেখানে তারা অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও দাতা সংস্থাকে বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে ও কৃষিখাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর করতে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করবেন।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১২টি জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ, এনজিও প্রতিনিধি, কৃষকদের নিয়ে বাকৃবির শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হল রুমে আয়োজিত আঞ্চলিক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় সুচনা বক্তব্য রাখেন এফএওর এসিস্ট্যন্ট রিপ্রেসেন্টটিভ (প্রোগ্রাম) ড.নূর আহমেদ খন্দকার। কর্মশালার উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার। কৃষি রুপান্তর বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত থিম্যাটিক ক্ষেত্রগুলোর উপর উপস্থাপনা করেন এফএওর ন্যাশনাল লিড এগ্রোনমিস্ট ড. মোঃ আবদুল কাদের। দলীয় আলোচনা করেন এফএওর ফ্যাসিলিটেটর ড. অনিল কুমার দাশ ও ড.মনিরুল হাসান।
বিকেলে ময়মনসিংহের টাউন হলের এড তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে দ্বিতীয় পর্বে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড.আঃ রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, বিআরআর আই মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর,বিএআরআই মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অনুবিভাগের প্রধান যুগ্নসচিব কবির আহামদ, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ.গাফ্ফার খান, বিএডিসির চেয়ারম্যান এ এফ হায়াতুল্লাহ, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন তুহিন প্রমুখ।
এ সময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ, এফএও’র কর্মকর্তাবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি, কৃষক, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ১২ জেলার বাছাইকৃত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কিশোগঞ্জ থেকে যারা কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ির উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আ. সাত্তার, কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন পুিরষদের সভাপতি আমিনুল হক সাদীসহ দুজন চাষী।
কর্মশালায় বক্তারা বলে, কৃষি খাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দরকার। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে ভ্যালু অ্যাড ও রফতানি করতে চাই। এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রয়োজন। এখন দেশে ৫৭ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আগামীতে এফএও’র সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের আরও সম্প্রসারণ হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব দেশেও দ্রব্যমূল্যের ওপর কিছুটা পড়েছে। তবে আমাদের কাছে এখন খাদ্যশস্যের সর্বোচ্চ মজুত আছে। পুষ্টি সংবেদনশীল কৃষি গড়ে তোলতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। ফসলের উৎপাদনও ভালো। কৃষিতে উৎপাদন বাড়বে আর উৎপাদন বাড়লে খরচও কমবে। কৃষি হলো অর্থনীতির কর্মকান্ড একে ধরে না রাখলে খাদ্য সংকটে পড়তে হবে।