সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০২:১৪ অপরাহ্ন

ভৈরবে ৮০কোটি টাকা ব্যয়ে এগিয়ে চলছে বিসিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজ ॥ নিম্নমানের কাজের অভিযোগ

ভৈরবে ৮০কোটি টাকা ব্যয়ে এগিয়ে চলছে বিসিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজ ॥ নিম্নমানের কাজের অভিযোগ

এম.এ হালিম,বার্তাসম্পাদক ॥
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিসিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজ দ্রƒতগতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পন্ন করে বিসিক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে। সেই লক্ষে প্রকল্পের ৭টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্যাস, বিদ্যুত, নতুন ভবন,সাইট ওয়াল ও ড্রেন নির্মাণে রাত-দিন কাজ করছে। তবে কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছেনা। ভবন, সাইট ওয়াল ও ড্রেন নির্মাণে ব্যবহার হচ্ছে নিম্মমানের পাথর, ভিটি বালি, ও ইট। এতে করে মানসম্পন্ন ও টেকসই হবেনা প্রকল্পের কাজ। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা। এদিকে কর্তৃপক্ষ কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে একটি নোটিশ দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। তবে কাজের গুণগত মান যাতে ভালো হয় সেজন্য সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে বলে ও জানান কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সিডিউল অনুযায়ী শতভাগ মানের কাজ হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবী।

২০১৩ সালে ভৈরবে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলার অনুমোদন হয়। কিন্ত নানা জটিলতায় কাজ শুর করতে পারেনি বিসিক কর্তৃপক্ষ। পরে ২০২১ সালে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভৈরবে কালিকাপ্রসাদ গ্রামে ৪০ একর ভূমির উপর ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হয় এবং চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। কর্র্তৃপক্ষ বলছে বন্যা ও বর্ষার কারনে কাজ করতে না পারায় নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ শেষ করতে পারেনি। তবে আগামী মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ করে বিসিক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার আশা প্রকাশ করেন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পে ২শ ৫৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ঊঠবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্লট বরাদ্ধ দেয়া হবে। এতে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। বদলে যাবে ভৈরবের মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান পেশা পাদুকা শিল্পের ক্লাষ্টারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে এ শিল্পে জড়িতরা সহজ শর্তে ঋণসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।

কালিকাপ্রসাদ গ্রামের আক্তার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আঃ লতিফসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রকল্পের কাজের গুণগত মান ভালো নয়। ভবন ,ড্রেন নিমার্ণে ভিটি বালি এবং ১নম্বর ইটের সাথে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া রাস্তা নির্মাণসহ প্রত্যেকটি কাজ নিম্মমানের হচ্ছে। তাই তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন যেন কাজের মান বজায় রেখে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করেন।
বিসিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কারিগরি কর্মকর্তা অরবিন্দু সরকার জানান, খারাপ কাজের কোন সূযোগ নেই। এরপর ও যদি কোন প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করে তাহলে সাথে সাথে রিপিয়ারিং করে রিকভারি করা হচ্ছে। এছাড়া কাজের গুনগতমান ঠিক রাখতে সার্বক্ষণিক দেখা শোনা করা হচ্ছে। আর বন্যার জন্য মাঝখানে কাজ বন্ধ থাকায় নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারিনি। আগামী ১ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এ বিষয়ে বিসিক প্রকল্প পরিচালক (পিডি) জিএম রব্বানী তালুকদার জানান, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কাজের গুনগত মান যেন ঠিক থাকে। এখানে খারাপ ইট ব্যবহার করা হচ্ছেনা। সব কাজ মানসম্পন্ন ভাবে হচ্ছে এবং ২০১৮ সালের সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। ঠিকাদারদের বুঝিয়ে গুনগতমান যাতে ঠিক থাকে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করাচ্ছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana