শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
এম.এ হালিম, বার্তাসম্পাদক:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্য জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় পাওয়া গৃহবধূর নাম তানিয়া ইয়াসমিন। সে কালিকাপ্রসাদ এলাকার স্কুল শিক্ষক এমরানের স্ত্রী। তবে এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী স্কুল শিক্ষক এমরান মিয়াকে আটক করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায় তানিয়া ইয়াসমিন দম্পতির ২টি সন্তান রয়েছে। তানিয়ার স্বামী ইমরান মিয়া ২য় বিয়ে করায় সংসারে পারিবারিক কলহ চলছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ তানিয়া নিজেকে পৃথিবী থেকে বিদায় জানিয়েছে। তবে এ ঘটনার জন্য স্বামী দায়ী বলে অভিযোগ করেন। এদিকে নিহতের স্বামী ইমরানের দাবি তার স্ত্রী মানসিক রোগী। সে প্রায়ই বাড়ি থেকে একা বের হয়ে যায়। বুধবার ও বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে নাটাল এলাকার ৮তলা ভবনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে নীচে পড়ে মারা যায়। আমি স্কুল থেকে বাসায় ফিরে তাকে না পেয়ে পরে নাটালের এখানে মানুষের ভীড় দেখে কাছে গিয়ে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পায়। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) মোঃ শাহআলম মোল্লা জানান, এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে জিডি মূলে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে মরদেহ প্রেরণ করেছি।
এদিকে রাতে ব্রক্ষপুত্র নদ থেকে অজ্ঞাত (৪০) নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-থানা পুলিশ। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভৈরব নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক রাসেল মিয়া জানান, বুধবার রাত ৯ টার দিকে পঞ্চবটি জব্বার জুট মিল এলাকায় ব্রক্ষপুত্র নদে নারীর মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখে এলাকাবাসি খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভৈরব নৌ-থানার ওসি মোঃ সাঈদুর রহমান জানান, মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।