মোঃ মাইন উদ্দিন, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি :
মোঃ মাইন উদ্দিন, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারী, টানা ৩৫ বছরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জহিরুল ইসলাম ভুঞা’র কবর জিয়ারত করেছেন কিশোরগঞ্জ-৬ ভৈরব-কুলিয়ারচর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন। তিনি উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে মরহুম জহিরুল ইসলাম ভূঞা’র গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ভূঞা বাড়ির আফসার উদ্দিন ভূঞা পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত মরহুম জহিরুল ইসলাম ভূঞা’র কবর জিয়ারত করেন। এ সময় জহিরুল ইসলাম ভূঞাসহ কবর দেশে শায়িত সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন, মুফতি শাকিল ভূঞা। কবর জিয়ারতের সময় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন এঁর সঙ্গে ছিলেন, কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুসা জিসান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া, পৌর মেয়র সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসিন, কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান, ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস.এম আজিজ উল্ল্যাহ, সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহ্ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মুক্তিমামুদ খোকা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক কাসেম, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারী ইউনিয়ন এর মহাসম্পদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান ভূঞা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ প্রয়াত জহিরুল ইসলাম ভূঞা’র দুই ছেলে- ওমর ফারুক ভূঞা ও ছোট ছেলে ভৈরব পৌরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঞা সুমন। আওয়ামী লীগের এখন স্বর্ণযুগ চলছে। দলটির দুঃসময়ে মরহুম জহিরুল ইসলাম ভূঞা ছিলেন ফরিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নিবেদিত প্রাণ। এলাকায় প্রচলিত আছে- ফরিদপুর ইউনিয়নে দলীয় কোনো কর্মসূচী হলে মাইকিং করার জন্য যখন কাউকে খোঁজে পাওয়া যেতোন তখন তিনি নিজেই মাইকিং করে এলাকাবাসীকে একত্রিত করতেন। জানা যায়, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান এঁর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান হয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী। সেই ৯৬-এ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান এঁর ফরিদপুর ইউনিয়নে আগমন উপলক্ষে মরহুম জহিরুল ইসলাম ভূঞা নিজের জমি বন্দকী রেখে সেই টাকায় প্রাণের দল আওয়ামী লীগের নবনিযুক্ত মন্ত্রীকে সু-স্বাগত জানাতে রাস্তায় ২০/২৫টি তরুণ নির্মণ করেছিলেন। বলতে গেলে তিনি তার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কল্ল্যাণে কাটিয়ে গেছেন। প্রয়াত ঐ নেতার কবর জিয়ারত করায় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি মরহুম জহিরুল ইসলাম ভূঞা’র পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন মরহুমের ছোট ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঞা সুমন।