শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
দীর্ঘ ৩৮ বছর আগে হিমালয়ের পাহাড়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন ভারতের সেনা সদস্য চন্দ্রশেখড় হারবোলা। অবশেষে পাওয়া গেছে তার মরদেহ। খবর বিবিসির।
এই ২০ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু বাকি পাঁচজন যেন চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিলেন।
শিয়াচেন হিমবাহ হলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে ঝড় ও তুষার ধসের কবলে পড়ে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের সেনারাই প্রাণ হারান।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ভারতের সেনা ইউনিট দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে একটি চন্দ্রশেখড়ের। অপরটির পরিচয় এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
চন্দ্রশেখড়েরর পরিবার বাস করেন হিমালয়ের শহর উত্তরখণ্ডের হলদিনি বিভাগে। তারা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে তাদের প্রতীক্ষার সমাপ্তি হবে।
৩৮ বছর পর নিজ গ্রামে নেওয়া হবে মৃত চন্দ্রশেখড়কে। সেখানে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তার অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চলছে।
কয়েক যুগ পর কোনো সেনার মরদেহ পাওয়ার ঘটনা ভারতে এবারই প্রথম না। এর আগে ২০১৪ সালে হারিয়ে যাওয়ার ২১ বছর পর তুকারাম ভি পাটিলের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
শিয়াচেনকে একটি সেনাবিহীন অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কয়েকবার আলোচনা করেছে ভারত-পাকিস্তান। কিন্তু কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।
১৯৮৪ সালে শিয়াচেনের দখল নিয়ে একটি ছোট যুদ্ধে জড়িত হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। এরপর চার দশক কেটে গেলেও এখনো সেখানে সেনাদের ঘাঁটি রেখে দিয়েছে দুই দেশই।
২০১২ সালে তুষার ধ্বসে একসঙ্গে ১২৯ জন পাকিস্তানি সেনা মারা যান। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ এ অঞ্চল থেকে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি ওঠে। আলোচনায়ও বসে ভারত-পাকিস্তান। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।
ওই ঘটনার পর ২০১৬ সালে ১০ জন এবং ২০১৯ সালে ৪ জন ভারতীয় সেনা তুষার ধ্বসে নিহত হন।