বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১০:০১ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারী যুব উন্নয়ন সংস্থা ‘যুব উন্নয়ন পরিষদ’র সভাপতি যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীকে জেলায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে যুব কার্যক্রমে অসামান্য অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ সংগঠকের স্বীকৃতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর রোডে অবস্থিত কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত জাতির পিতার পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩ তম জন্মবার্ষিকীতে প্রশিক্ষিত যুবদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ স্বীকৃতি সনদ প্রদান করা হয়। এর আগে সাদী কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতি সনদ পেয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এমএ আফজল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মোঃ গোলাম মস্তোফা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফারজানা পারভীনের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জেড এ সাহাদাৎ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক তাহসীনা নাজনীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলায় যুব কার্যক্রমে অসামান্য অবদান রাখায় কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আমিনুল হক সাদীকে শ্রেষ্ঠ সংগঠক, করিমগঞ্জের ফারজানা আক্তার রিতুকে সফল সংগঠক, রিমি ফ্যাশনের সত্বাধিকারী রিমা আক্তারকে শ্রেষ্ঠ আত্মকর্মী, পাকুন্দিয়ার এনামুল হক বুলবুলকে সফল আত্মকর্মীসহ বিভিন্ন কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদেরকে সনদ প্রদান করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন যুব সংগঠন ও যুব এবং যুব নারীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এসময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, যুব ও যুব নারীগণসহ বিভিন্ন যুব সংগঠনের প্রধিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী জানান, যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এলাকার বেকার যুব সম্প্রদায়কে যুব উন্নয়ন পরিষদের” ছায়াতলে সংগঠিত করে বিভিন্ন অফিস আদালতের মাধ্যমে বিশেষ করে যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে বেকার যুব সমাজকে সফল আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। অনেকেই প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যুব উন্নয়ন থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করে আজ সাফল্যের শিখরে আরোহণ করেছেন। ২০১০ সালে গড়ে তোলি “যুব উন্নয়ন পরিষদ’ নামে একটি যুব সংগঠন। এ সংগঠনটির মাধ্যমে বেকার জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এ সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার দারিদ্র বেকার জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই হাজার যুব ও যুব মহিলাকে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী দফতরের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলেছি। অনেকেই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে দেশ বিদেশেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় বেকার যুবকরা প্রশিক্ষণ পেয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেদেরকে সফল হিসেবে গড়ে তোলেছেন। এসব যুব কার্যক্রমে অসামান্য অবদান রাখায় জেলা প্রশাসন আমাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।