শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০২ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: যুব সংগঠক আমিন সাদী। পুরো নাম মোঃ আমিনুল হক সাদী। মানব কল্যাণে নিবেদিত এক দিপ্ত যুবক। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্যে, এই মৈত্র বলিয়ান কিছু মানুষ শত বাধা বিপত্তি ও বাস্তবতার মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন যুব সমাজ তথা মানব সেবায়। আবার কিছু কিছু দুঃখী মানুষের দুঃখে পীড়ীত হন। এছাড়াও দুঃখী মানুষের দুঃখ দূর্দশা দূর করার জন্য সমাজ ও দেশের মাঝে রাখেন অনন্য অবদান। সে রকমই একজন যুবক মো: আমিনুল হক সাদী।
কিশোরগঞ্জের সফল যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী যুব সংগঠক হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি ২০০৪ সালে কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হতে গবাদী পশু, হাস মুরগী, মৎস্য চাষ, গরু মোটাতাজা করণ, কৃষি বিষয়ক ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিয়ে অন্যান্য যুব ও যুব মহিলাদের আতœকর্মসংস্থান তৈরীতে দিকে মনোযোগি হন। প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান বাস্তবে কাজে লাগিয়ে একজন যুব সংগঠক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। এখনও তিনি কাজ করে চলেছেন।
গুরুদয়াল সরকারী কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে মাস্টার্স পড়াশোনা করেও যুব সংগঠক সাদী সরকারী চাকুরীর দিকে না তাকিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকা ঋন নিয়ে সাদী সমন্বিত কৃষি খামার’ গড়ে তোলেন। এই খামারের পুকুরে মাছ চাষ, নিজস্ব জমিতে কৃষি ফসল ও বনায়ন নার্সারী তৈরী করেন।
এছাড়াও শাক সবজি আবাদ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠেন। সাদীর সবচে বড় সাফল্য হলো নিজেকে একজন সফল যুব সংগঠক হিসেবে গড়ে তোলা। যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এলাকার বেকার যুব সম্প্রদায়ের যুব উন্নয়ন পরিষদের” ছায়াতলে সংগঠিত করে বিভিন্ন অফিস আদালতের মাধ্যমে বিশেষ করে যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে সফল আতœকর্মী হিসেবে গড়ে তোলেছেন কয়েক শতাধিক যুব ও যুব মহিলাকে। অনেকেই প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যুব উন্নয়ন থেকে ঋন নিয়ে আজ সাফল্যের শিখরে আরোহণ করেছেন। সাদী বেকার জনগোষ্ঠীকে নিয়ে ২০১০ সালে গড়ে তোলেন “যুব উন্নয়ন পরিষদ’ নামে একটি যুব সংগঠন। এ সংগঠনটির মাধ্যমে বেকার জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে চলেছেন তিনি। এ সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার দারিদ্র বেকার জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই হাজার যুব ও যুব মহিলাকে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী দফতরের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলেন। অনেকেই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে বিদেশেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় বেকার যুবকরা প্রশিক্ষণ পেয়ে পোল্ট্রিসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেদেরকে সফল হিসেবে গড়ে তোলেছেন।
করোনাকালে স্বেচ্ছাসেবী যুব উন্নয়ন পরিষদের মাধ্যমে সংগঠনের উদ্যোগে মাস্ক স্যানিটাইজার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। দরিদ্রদেরকে আর্থিক সহায়তাসহ অনেক মানবিক কাজ করছেন। জেলার অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক ও যুব সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৬ সালে সাদী নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ নামে আরও একটি সংগঠন। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত হয়ে সংগঠনটির উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবামুলক কর্মকা-ের মাধ্যমে বিপুলভাবে প্রশংসিত হন এবং নানা পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১১ সালে গড়ে তোলেন মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগার নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে জ্ঞান অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে চলেছে। চতুর্দিকে আলোর বিকিরণ ছড়িয়ে দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালে এ পাঠাগারটি জেলার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট পাঠাগার হিসেবে জেলা প্রশাসন থেকে সম্মাননা পদক পেয়ে আরও সুনাম কুড়িয়েছেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মাধ্যমে মুজিববর্ষে একটি মুজিববর্ষ কর্ণার উপহার পেয়ে একে আরও সুষোভিত করে তোলেছে। ২০১৯ সালে সাদী গড়ে তোলেন কিশোরগঞ্জ আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি নামে আরও একটি সংগঠন। যার মাধ্যমে জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও পুরাকীর্তির উন্নয়ন ও সংরক্ষণে অবদান রেখে যাচ্ছেন তিনি। ২০২১ সালে গড়ে তোলেন ‘বয়স্ক ও যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ’্র। এ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বয়স্কদেরকে শিক্ষা দান ও বেকার যুব সম্প্রদায়কে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের সদস্যরাও আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠান সমূহের নিবন্ধন দিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদফতর ও গণগ্রন্থাগার অধিদফতর সাদীর কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করার সুযোগ করে দিয়েছে। এসব প্রশংসনীয় কার্যক্রমে সাদী পেয়েছেন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক সম্মাননা সনদ ও পুরস্কার।
একজন সফল সংগঠক আমিনুল হক সাদীর প্রতিষ্ঠিত যুব সংগঠন মূলত যেসব বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে তা’ হলো যুব নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা, জীবিকার জন্য দক্ষতামূলক কার্যক্রম, নিরক্ষরতা দূরীকরণ,কারিগরি প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহারের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষ রোপন এবং পরিবেশ দূষন রোধে প্রচারণা, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা, স্থানীয় সরকারের সাথে মিলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অবদান , ধূমপান ও মাধকবিরোধী কর্মকা- , সন্ত্রাস ও অন্যন্য সমাজবিরোধী কর্মকা- প্রতিরোধ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, এসটিডি এইডস সচেতনতা, স্যানিটেশন কার্যক্রমে অবদান, বায়োগ্যাস প্রকল্পে উদ্বুদ্ধকরণ, পরিষ্কার পচ্ছিন্নতা কার্যক্রম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশ গ্রহণ , বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ যৌতুক বিরোধী আন্দোলন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-,সমাজ উন্নয়নমুলক কাজে অবদান, দেশীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার, নিজস্ব শ্রম ও মেধার প্রয়োগে যুব নেতৃত্ব বিকাশে তিনি নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যয়ন পেয়ে এসব কাজের আরও স্বীকৃতি লাভ করেছে।
ইতিমধ্যে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনিস্টিউট সভার, ঢাকা থেকে যুব বিনিময় কর্মসুচী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে গত ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই ২০২২ ইং ৫ দিন ব্যাপী দেশের ৬৪ টি জেলা থেকে আগত যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে যুব মিনিময় কর্মসূচীতে কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে অংশগ্রহণকারী যুব সংগঠক হিসেবে অন্যতম। তিনি সেরাদশে তৃতীয় বক্তা হিসেবে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনিস্টিউট কর্তৃপক্ষ পুরস্কার প্রদান করেছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষণ বিষয়ের বাস্তব অভিজ্ঞাতার আলোকে কিশোরগঞ্জ জেলা, উপজেলাসহ তৃনমূল পর্যায়ে বেকার যুবদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য আতœকর্মী ও সাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছেন।
আমিনুল হক সাদী বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি “ বাংলার মানুষ বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়কে আমাদের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলার যে ছেলে তার অতীত বংশধরদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে না সে ছেলে সত্যিকারের বাঙালি হতে পারে না” এর প্রতি আকৃষ্ঠ হয়ে ইতিহাস ঐতিহ্যর প্রতি মনোনিবেশ হই। গোপালগঞ্জে সফরে গিয়ে অন্যরকম অনুভূতি তৈরী হয়। পরে লিখেও ফেলি যেমন দেখেছি রাষ্ট্রপতির কিশোরগঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ নামে একটি বইও। তিনি বলেন,আমার পথচলাটা ছিলো খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে। নানা প্রতিকূল অবস্থা অতিক্রম করে আজ এক যুগে পা দিয়েছে আমার যুব উন্নয়ন পরিষদটি। সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে যাদের সহায়তা পেয়েছি তারা হলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞা, বর্তমান উপপরিচালক ফারজানা পারভীন, সহকারী পরিচালক তাহসীনা নাজনীন, সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জেড এ সাহাদাৎ হোসেন, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যক্তিবর্গ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মহিনন্দ ইউনিয়নের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আলী বলেন, আমাদের জানা মতে তিনি ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতায় স্থানীয় ও দেশের জাতীয় অনেক সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে সফলতার সাথে কাজ করে আসছেন। বহু প্রতিভাধর যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীর কৃতিত্বের জন্য তাকে আমাদের সংগঠন ও পরিষদের পক্ষ হতে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠিত যুব সংগঠনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এতদাঞ্চলের বেকার জনগোষ্ঠীর আতœসামাজিক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রেখে যাচ্ছে। এই প্রতিভাধর সংগঠককে জাতীয়ভাবে পুরস্কার দেওয়া হলে আরও সে উৎসাহিত হতো।
জাতীয় যুব পদক ২০২০ প্রাপ্ত শিবলী সাদিক নোমান বলেন, ২০১৮ সালে সাদী ভাইয়ের যুব সংগঠনের সহায়তায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উদ্যোগে অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলাম। প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমি নিজেও মৎস্য ডেইরি ও পোল্ট্রি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করি। যেটি জেলা প্রশাসন ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে আমাকে জাতীয় যুব পদকে ভূষিত করে।
কিশোরগঞ্জ সদরের মহিনন্দের বাসিন্দা শ্রেষ্ঠ সফল আতœকর্মী জাতীয় যুব পদক ২০১৩ প্রাপ্ত নুরুল আরেফিন লিংকন বলেন, যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী আমার ফার্ম নিয়ে অনেক প্রতিবেদন তৈরী করে এলাকার বেকার যুবদের মধ্যে পোল্ট্রি শিল্পের প্রসারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত যুব সংগঠনের প্রশিক্ষিত সদস্যরা আমার ফার্মে এসে হাতে কলমে শিক্ষা নিয়ে তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। দক্ষ যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা এখন সময়ের দাবী।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জেড এ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীর প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন পরিষদকে আমরা নিবন্ধন দিয়েছি। তার সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় যুব দিবসসহ বিভিন্ন প্রশংসনীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপপরিচালক ফারজানা পারভীন বলেন, যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীর প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন পরিষদ নামের সংগঠনটি একাধিকবার পরিদর্শনে গিয়েছি। সে মুজিববর্ষে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের যুব শক্তি বিষয়ে রচনা লিখে প্রথমে সদরে প্রথম হয়। পরে জেলা পর্যায়েও প্রথম স্থান লাভ করায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে তিন হাজার টাকার প্রাইজবন্ড ও ক্রেষ্ট এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
আমিনুল হক সাদী কিশোরগঞ্জ তথা স্থানীয় বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের কাছে একজন অনুপ্রেরণার নাম। সাদীর সার্বিক সফলতা কামনা করেছেন স্থানীয়রা। তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় যুব পদকে তাকে ভূষিত করার জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।