শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র একদিন বাকী। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে কিশোরগঞ্জের ১৩ টি উপজেলায় কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। যার ফলে বাজারগুলো জুড়েই দেশী ও বিদেশি জাতের প্রচুর গরু, ছাগল ও ভেড়া উঠেছে। বিশেষ করে দেশী জাতের কোরবানির পশুর চাহিদা ও মূল্য বেশী। বাজার জুড়ে মানুষের উপচে পড়া ভীড়।
আজ 8জুলাই জুলাই শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জের পৌর এলকার শোলাকিয়া মাঠে বিভিন্ন জাতের গরু, ছাগল ও ভেড়া নিয়ে ব্যবসায়ীরা এসেছেন। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। ক্রেতা -বিক্রেতাদের মধ্যে নেই স্বাস্থ্য বিধির বালাই। চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল ও ভেড়া।
অনেকেই সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানির পশু ক্রয় করতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরছেন। আবার কেউ কেউ ঈদের দু’একদিন আগে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত গরুর খামার থেকে কোরবানির পশু ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে। পশুর হাটের সুন্দর ও স্বচ্ছ রাখতে থানা পুলিশ এর বিশেষ টিম সার্বক্ষনিক টহল দিচ্ছেন।
ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, অন্য বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর হাটে এবার একটু দেরীতে বেচা-বিক্রি জমে উঠেছে। তবে এবারের হাটে গরু, ছাগল ও ভেঁড়ার মূল্য অনেক বেশি। যা এর আগে এতো চড়া মূল্যে গরু- ছাগল বিক্রি হয়নি। এবার একদম ছোট আকারের দেশী গরু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায়। এধরনের আকারের ছোট গরু সাধারণত কেউ কোরবানি নিতে চান না। কিন্তু নিরুপায় হয়তোবা কেউ কেউ কিনছেন। তবে এ জাতের গরু ক্রয়ে প্রচন্ড অনিহার্য ক্রেতাদের। হাটে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা খুবই বেশি। এ আকারের গরু ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। একটু বড় আকারের গরু এক লাখ থেকে সর্বচ্চো ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানির হাটে আসা মবিন মিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, হাটে গরু বেশি থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী পাচ্ছিনা। এরমধ্যে অতিরিক্ত দাম। এখনও কিনা হয়নি। হাটে ঘুরছি।
মো: মামুন মিয়া নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা মূল্যের সাইজের গরু মিডিয়াম সাইজের। চাহিদা অনুযায়ী গরুই নেই। অনেকক্ষণ ঘুরে দেখেছি। শেষ পর্যন্ত ফিরে যাচ্ছি ঈদের শেষ হাট শুক্রবার উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারে কিংবা কোন এক হাটে কিনবো।
হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী ে মো: ওসমান গনি বলেন, হাটে দেশি গরুই বেশি। ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী গরু কিনছেন। ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা শহরের শোলাকিয়া গরুর বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর গরু উঠেছে। কিন্তু সেই তুলনায় বেচা বিক্রি তেমন হয় না। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, জেলা সদরের অনেক গরুর হাট আছে, সেখানে মসজিদ মাদ্রাসার নামে-বেনামে ইজারা আদায় করে মসজিদে সামান্ন কিছু টাকা দিয়ে বাকি টাকা তারা আত্মসাৎ করে। এতে সরকার থেকে ইজারাকৃত হাটগুলো ভাল জমে না। অন্যথায় সরকার লক্ষ লক্ষ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ মডের থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ বলেন, পশুর হাট এর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের প্রশাসনের লোকজন সিভিল ড্রেসে টহল দিচ্ছেন। যাতে কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা না হয় সে দিকে নজরাদি আছে। সমগ্র পৌর এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতাধীন আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকা অস্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও সদর এলাকার অনেক জায়গায় পশুর হাট বসেছে। কোন ধরণের অনিয়ম বিশৃংখলা যাতে না হয় সেদিকে আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।