শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
মোঃ মাইন উদ্দিন, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক ইতালি প্রবাসীর বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের জায়গা জবরদখল করে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ বারবর পৃথক পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত প্রবাসীর নাম আশরাফুল ইসলাম মিরন (৪৪)। সে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের মাটি কাটা গ্রামের মৃত কুদ্দুস রুহুল আমিনের পুত্র। পক্ষান্তরে ভুক্তভোগীরা হলেন, একই গ্রামের মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব মোঃ সাফি উদ্দিন আহমেদ (৭৫) ও তার পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম টিটু (৪৮) ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যগন। ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের প্রতিবেশী মৃত কুদ্দুস রুহুল আমিনের পুত্র ইতালি প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম মিরন কয়েক মাস আগে ছুটিতে বাড়িতে এসে আমাদের জায়গা জবরদখল করে তিনতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। পরে আমরা থাকে ভবন নির্মানে বাধা নিষেধ দিলে ইতালি প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম মিরন ও তার ভাই-ভাতিজা এসে আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দেয়। এ সময় ইতালি প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম মিরন বলেন, এটা তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি, এখনে ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দিলে এর কঠিন মাশুল দিতে হবে। এ ঘটনায় ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব মোঃ সাফি উদ্দিন আহমেদ এর পুত্র মোঃ মাজাহারুক হক জিতু বাদী হয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বারবর পৃথক পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। এছাড়াও গত ২০ জুন- ২০২২ ইংরেজি মোঃ সাফি উদ্দিন আহমেদ, মোঃ মিজানুর রহমান ও মোঃ ইমরানুর রহমান বাদী হয়ে ইতালি প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম মিরনকে প্রধান বিবাদী করে ৭ জনের নামে কুলিয়ারচর সহকারী জজ আদালত (বাজিতপুর চৌকি), জিলা- কিশোরগঞ্জ-এ একটি মোকদ্দমা অন্য প্রকার নং- ১০৮/২০২২ ইং দাখিল করেন। বাদী পক্ষ মোকাদ্দমায় উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুন ২০২২ ইং তারিখ আমাদের দখলীয় জায়গা বেআইনিভাবে বদখল করার চেষ্টা করে ওই প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম মিরনসহ মোকাদ্দমায় উল্লেখিত বিবাদীগন। মোঃ রফিকুল ইসলাম টিটু এ ঘটনা নিয়ে “দৈনিক পূর্বকণ্ঠ” অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত একটি সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ঐ সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে না এসে আমাদের প্রতিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি সংবাদ লিখেছেন। যা আধো সত্য নয়। আমরা ছয় ভাই এক বোন। আমরা সবাই সরকারি চাকুরিজীবী। মানুষের সাথে দাঙ্গা হাঙ্গামা করা তো দুরের কথা, দুই ঈদ ছাড়া আমরা বাড়িতেই আসি না। তিনি তার বৃদ্ধ পিতা ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব মোঃ সাফি উদ্দিন আহমেদ সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতার কামনা করেন। ইতালি প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম মিরন বলেন, আমরা পৈত্রিক সূত্রে এই জায়গার মালিক। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কাগজপত্র বিষয়ে আমি জানিনা, এসব আমার পূর্বপরুষরা জানতেন।