সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায়ের দিন হলো শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা। এ হামলায় সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। নির্বাক হয়ে গিয়েছিল কিশোরগঞ্জবাসী। ২০১৬ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাতের পূর্বে মাঠে প্রবেশপথের সংযোগ সড়কে মুফতি মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদের সামনের তল্লাসি চৌকিতে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড, গুলি ও চাপাতির আঘাতে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল, একজন গৃহবধু ও এক জঙ্গি নিহত হন। সেদিনের স্বজন হারানোর দুঃসহ স্মৃতি আর দেশ কাঁপানো বীভৎস ঘটনা আজও তাড়িয়ে বেড়ায়। শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (৭জুলাই) কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন। পরে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, জেলা পরিষদ প্রশাসক জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ আফজল, পৌর মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনিবার্ণ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আল আমিন, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদসহ জেলা পুলিশ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ২০১৬ সনের ৭ জুলাই ঈদ-উল-ফিতরের দিন ঈদের জামাত শুরু হওয়ার পূর্বে শোলাকিয়া ঈদগাহের পশ্চিম দিকে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মুফতি মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদের সামনে জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল হক, জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ দেবনাথের স্ত্রী গৃহবধু ঝর্ণা রানি ভৌমিক ও হামলায় অংশ নেয়া আবির রহমান নামে এক জঙ্গির ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ও তানিম নামের এক জঙ্গী আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে র্যাব কিশোরগঞ্জে নিয়ে আসার পথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।