রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট সংগঠক আমিনুল হক সাদী ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নতুন প্রজন্মের ভাবনা’ বিষয়ের ওপর রচনা লিখে কিশোরগঞ্জ জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পুরস্কার ও সম্মাননা সনদ পেয়েছেন।
শনিবার ২৫ জুন পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী দিনের মাহেন্দ্রক্ষণে জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যুব উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ও মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক সাদীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অতিথিবৃন্দ এ পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আজিজুল হক সুমন। প্রধান অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার মাকসুদা,কিশোরগঞ্জ আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোকাররম হোসেন শোকরানা, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি কোহিনুর আফজল। বক্তব্য রাখেন শিক্ষক বিপ্লব মোহন চৌধুরী, সাইফুল্লা মাসুম, সাদিয়া সুলতানা প্রমুখ।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নতুন প্রজন্মের ভাবনা’ বিষয়ের ওপর রচনা প্রতিযোগিতা আহ্বান করলে কিশোরগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যুব উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ও মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক সাদী অংশ গ্রহণ করলে কিশোরগঞ্জ জেলায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক সুমন বলেন, আমাদের অফিসের নিবন্ধিত মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী ‘ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নতুন প্রজন্মের ভাবনা’ বিষয়ে রচনা লিখে জেলা পর্যায়ে তৃতীয় স্থান লাভ করায় আমরা তাকে পুরস্কার ও সনদ দিয়েছি। আমি তার সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করছি।
বিজয়ী আমিনুল হক সাদী বলেন, ‘এ পুরস্কারটিসহ আমার এ যাবত অর্জিত পুরস্কার ও সনদের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৬। সবার কাছে দোয়া চাই আগামী দিনের জন্য।’
প্রসঙ্গত বেকার জনগোষ্ঠীকে নিয়ে ২০১০ সালে আমিনুল হক সাদী গড়ে তোলেন “যুব উন্নয়ন পরিষদ’ নামে একটি যুব সংগঠন। এ সংগঠনটির মাধ্যমে বেকার জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া ২০১১ সালে গড়ে তোলেন মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার দারিদ্র্য বেকার জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ও সমাজ কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।