শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
-এমএ হক
রাকিব ফোনে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল তার প্রিয় বাবাকে। বিষয়টি আমিন দেখে শিশুকালের কথা মনে পড়ে গিয়ে বলছিলো আমাদের যুগে কোনো ফোন ছিল নারে।বাবাকে শুভেচ্ছাতো দুরের কথা দেখাও করতে পারিনি ম্যাচ জীবনে। বাবাও চাকুরীর সুবাদে বসের মন যোগাতে না পারলে এখানে ওখানে বদলী হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করতেন। যেদিন বাড়িতে আসতেন বাবার পিঠে চড়ে কত ঘুরেছি, ঘোড়ার গাড়ী বলে দাবরিয়েছি। এরপরেও বাবা কোনো দিন উহ শব্দ করেননি। পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে বড় কষ্টটা কাউকে বুঝাতেও পারেনি বাবা।অল্প বেতনে বড় সদস্যোর পরিবারের ভরণপোষনে হাফিয়ে ওঠতেন বাবা। আর তাই আমিন প্রতিদিন সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠেই সালাত আদায়ের পর বাড়ির ওঠনের পতিত জমিনে শাক সবজি আবাদে মনোযোগী হতেন। সে জমিনের সবজি বিক্রি করেই তার পড়াশোনার খরচ বাদে সংসারেরও হাল ধরতেন।আমিনের বেড়ে ওঠার সাথে সাথে সংসারেরও যেনো বেড়ে ওঠা। বাবার বয়স হয়েছে এখন যেকারণে আগের মতো পিঠে বড় ছেলেকে বহন করতে পারে না। একদিকে হার্টের সমস্যা অন্যদিকে চাকুরীটাও নেই। পেনশনের অল্প টাকা কড়ি দিয়ে জোড়াতালি চলছে সংসারের চাকা। বাবার আশা ছিলো বড় ছেলে বড় হয়ে বাবার স্থলে চাকুরী করে পুরোপুরি সংসারের হাল ধরবে। কিন্ত তা আর হলো না। সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়েও কোনো চাকুরী হলো না আমিনের। তাইতো জমিনের মাটি কুড়ানো তার সখে পরিণত হয়েছে। আর সে মাটিতে সবজির আবাদ করে কোনো রকমে চলছে দিনকাল। এক সময়ে আমিন অবিবাহিত ছিলো কিন্ত বিবাহের পরে তার ঘরে জন্ম নিয়েছে দু সন্তান।সেও এখন বাবা। আমিনেই বুঝে বাবা কোনো দিবসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিটি দিনই যেনো তার কাছে বেচে থাকার সংগ্রাম, একটি পরিবারের অবলম্বন……